এই যে প্রহরী,,পাহারা দিচ্ছ তো,,
মশারী হয়ে মশা হতে নিরাপদ রাখতে চলছ জনপদ,,
কিন্তু তোমাদের মশারী কোথায় গো?
বাগানের বাইরে যে মন্ত্র পড়ে তাড়িয়ে যাচ্ছ সাপ
সেই সাপের কামড় হতে বাঁচার,,তাবিজ কি
তোমাদের হাতে আছে?
মন্ত্র পড়ার পুস্তকটাও কি পেয়েছ হাতে
ওই ওঝার কাছ হতে?
ও প্রহরী কেন জানি জিজ্ঞেস করতে চাইছে মন,,
তোমাদের নিরাপত্তা,
তোমরা কি দিতে পারো তোমাদের?
তোমরা কি জলোচ্ছাসের সামনে বেঁচে যেতে পার,,
দাবানলের সময় নিজেকে রাখত পারো অক্ষত,,
নাকি তোমরাই হও যজ্ঞের আহুতি,,
তোমরাই হও বলির পাঠা,,মন্দির সম্মুখে?


যে পাঠা হবার বাধ্যগত অভ্যাসে অভ্যাসে
তোমাদের চোখের জল কে কি
অশ্রু বলতে পারো,,,।
তোমাদের কষ্টকে কি কষ্ট বলে মেনে নেয় প্রকৃতি?
না কি তোমরা ভিন্ন গ্রহের ভিন্ন জীব,,
তোমাদের ঘরে তোমাদের সন্তান,,
বসে থাকলেও তোমাদের অপেক্ষায়,,
তোমাদের হাসিই পায় অন্তরে
পথের শেষ হয় না পথের মাঝারে।
তোমাদের মুখে মা ডাক শুনার বাসনায়
মা দুয়ারে দাঁড়িয়ে থাকলেও
তোমাদের বুকের ভেতরে কোন ব্যথা হয় না,,,।
তোমাদের স্ত্রী,,,তোমাদের কামনায়
কেঁদে কেঁদে হয়ে গেলেও অস্থির,,,
তোমরাই সেই কান্নার উপর তুলে দাও সস্থির প্রাসাদ?
তোমাদের ঘরে ফেরার চিঠিখানাতে
তোমরাই  বসিয়ে দাও উই পোকার মেলা?
কেন প্রহরী,,কেন?
তোমাদের আকাশে কি কোন মেঘ,, মেঘ নয়?
তোমাদের বন্যার দিনে,,বন্যাও কি কোন বন্যা নয়?


নাকি রাজদরবারের সম্মুখে দাঁড়িয়ে
জেগে জেগে রেখেছ যে রাত্রি
নিদ্রার তরে রাজ্য জুড়ে,,,
সেথায় তোমরা স্বেচ্ছায় অসহায়ের চেয়েও অসহায়
স্বেচ্ছায়  বন্দির চেয়েও বন্দি,
কল্যাণের তরে,,।
তোমরাই তোমাদের মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে
জীবনের বার্তা পাঠাতে চাও,,
তোমাদেরই আশ্রয়ে রাখা কপোত প্রাণে।
আর এভাবেই,,হাড়িকে রাখ হাড়ি
এভাবেই ঘরকে রাখ ঘর
এভাবেই সুখকে রাখ সুখ করে?
কিন্তু তোমাদের হাড়ি,ঘর,সুখ,,
কে,,,কে রাখে প্রহরী
কেবল হাড়ি,কেবল ঘর,কেবল সুখ করে?
সে কি আমরা, নাকি তোমরা,,,।
জানতে দিও প্রহরী,, জানতে দিও,,
ঘরের চৌদিকের দেয়াল খানিরে
দেয়ালের মতই
কে,,দেয় পাহারা?