ভয় তো লাগে নবীন,,
এই যে,, এত রাতে,, চলে এসেছি
অনেক অনেক দূরে,,,তোমার হাত ধরে।
এই চলা,,,এই পাশাপাশি প্রেম
রাত কে কি করে দিবে আরও দীর্ঘ
নাকি প্রভাতের পথে আমরা প্রভাতের শিয়রে?
বল নবীন আমার বুকে বুক রেখেই বল,,,
যে সাহস,, যে স্বপ্ন যে তরঙ্গ জীবন দিচ্ছ
আমার হাতে তুলে,,
যেভাবে মাকড়রসার বাসা ভেঙ্গে দেখাচ্ছ পথ,,
তাতে জানি,,নিশ্চিত জানি নবীন
ভোর আসবেই,,আসবেই
আমার পায়ের আলতা ধরে তোমার ভরসায়।
জানি ভোর হলেই ঘাসের বুকেও জমা হবে
আলোর মেলা,,
জানলা খোললেই শুনা যাবে কেবল পাখি আর পাখির গান
একটু দূরে হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে
নবীন বাতাসের তরল স্পর্শ।
রাস্তার উপর থাকবে না আর কোন
বেসামাল ব্যস্ত গাড়ি,,
কোন দূষণই রবে না দুনিয়াতে,,গতকালের মত।
শুভ্র এক সকাল আকাশ ধরা দিবে
মাটির বুকে,,


এও জানি নবীন,,,ডিম ভাজার গন্ধে
জীবন রুটি হবে,,আনন্দ ডাল সবজিতে অমৃত,,
পড়ার টেবিলে প্রেমকাব্য হবে গীতাপাঠ তুল্য।
হাতের রেখার উপর দিয়েই হাল বেয়ে
ফসল ফলিয়ে নিবে,, ঘরের কৃষক।


তবু ভয় হয় নবীন,,,ভয় হয়,,
একই আঁধার যদি দিন রাতের মত
প্রেমের ভুবনে ঘূর্ণন আবৃত্ত হয়,,,
তাহলে আজিকার প্রেম কি পাব
আগামি দিনের অন্ধকারে?
নাকি রাতই কেবল হবে সাথী,,
বাসী ফুলের বাসী জীবন দরবারে।
প্রেম টা রয়ে যাবে অচেনা,,অজানা
বাসীপুরে।