অনেক নীরবতাই ছিল,,
পথে ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা
পথের কুকুরগুলিও ছিল নীরব!
গাছের নীচে যে ভিজা পাতা গুলি ছিল,,
একেবারে মাটির সাথে শুয়ে।
সেগুলিও ছিল শান্ত,,ধীর,,।
না না,,সেই শান্ত হঠাৎ করে আর শান্ত রইল না
ভেজা পাতায় আগুন লেগে হয়ে গেল দাবানল
বৈদ্য পাড়ার গোয়াল ঘরে সযতনে বাঁধা গরুটার
গলার রশিও,,, গেল সুতার মালার মত ছিড়ে।


কিন্তু কেন? কেন এমন হল?
হোট করে কেমন করে তুমি হয়ে গেলে
সংবাদের,, একেবারে চোখ ধাধানো
দাবানলের শিরোনাম!
বল ক্ষনিকা,,
কেমন করে তুমি শব হয়ে ভেঙ্গে দিলে
চিরন্তন নীরবতা সব,,?


তোমাকে তো আমি বাঁচাতে পারি নি,,
তোমার উপর হুমরি খেয়ে পড়া শিয়ালের
দাঁত ভাঙ্গতে পারি নি,,
পারি নি তোমাকে আমার হাত হতে কেড়ে নেওয়া
সেই নরপশুদের বুক ছিড়ে রক্ত খেতে।
কী করব ক্ষণিকা,,কী করব,,
গুরুদেব যে বলেছিলেন,,
মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ!!
তাহলে,,আমি কী অন্যায় করেছিলাম,,
চারপাশে,,, মানুষ গায়ে লিখা
মানুষের মত ওই প্রেতাত্মা গুলিকে
মানুষের দেহের মাঝে চিনতে না পেরে
পাপ করেছিলাম?
আর তাই,,খুব সহজেই আনন্দে উল্লাসে,,
হ্যা হ্যা আনন্দ উল্লাসে,,মানুষই হয়ে গেল পশু
হয়ে গেল,,পশু।হয়ে গেল পশু।।
নারী মাংস লোভী পশু!!
ক্ষনিকা,,,পশু হতে হতে,,,বর্বরতার পাখায় উড়ে
কানের পাশে এসে শুনিয়ে গেল,,দেখিয়ে গেল
চিল কীভাবে ছুঁ দিয়ে কেড়ে নেয় প্রাণ?
বাঁচনের প্রাণ! সম্মানের প্রাণ!!
সমাজের প্রাণ!!


তাই প্রাণ হারাতে হারাতে , বুঝলাম, জানলাম,,,
দেখলাম আশেপাশের দালান গুলি
ভেঙ্গে পড়ছে আমার মাথার উপর।
ঘর হতে দৌড়ে বের হচ্ছে নারী,,
উলঙ্গ দেহে দৌড়াচ্ছে আর বলছে
না না,,না কোথায়ো কোন মানুষ নেই
কোথাও কোন মানুষ নেই,,
বালিশের নীচে চিল,,
দালানের নিচে পশু,,
বাগানের ভেতর প্রেতাত্মা।


,ক্ষণিকা!! তুমিও কি তাদের কে
দেখে দেখে তাই বলেছ?
আচ্ছা সত্য করে বলেত,,তুমি কি
তাদেরকে চিনতে পেরেছ?
যখন তোমাকে ওরা ধরে নিয়ে যায়
তখন ওদের মাথার উপর আকাশটা চিনতে পেরেছ,,
জানতে পেরেছ কি কোন মাটির উপর দাঁড়িয়ে
ওরা পায় এত অসুরীয় বল,,


বল,, বল,,এ কোন মাটি,,?
নাকি মাটিটাই চিনতে পার নি,,
মানুষ আর পশুর ব্যবধান
না চেনার মত,,!!
জানতেই পারো নি কিছু,,
শুধু মরণ শয্যায় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন যৌনাঙ্গ নিয়ে
মরতে মরতে বলেছ?
গুরুদেব! ও গুরুদেব,,!!
সত্যি কি মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ??
###############
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস