কবে যে তোমার কোলে মাথা রেখে
তোমারই দেহের ঘ্রান নিয়েছি তা ভোলে গেছি ।
গা টা এখন আর যে একা নয় আমার
রসুন , পিয়াজ এর অধিকার যে সেথায়।
খোকাটার প্রসাবের আদর আমার চোখের
গোপন পানির চেয়েও বেশি।
সেই সকাল বেলা তোমার ঠাকুর দেবতার
তোষামোদি যখন শুরু হয় তখন
আমি শুন্য বালিশে তোমার মাথার ছাপ টাই খুঁজি।
হয়তো আমি মোবাইল ফোন আর অফিস কাজে
ব্যস্ত এক উদাস বালক।
সংসারের কাজে তুমি উদাসি বালিকা।
তাই বলা হয় না
সিথিতে  আজ সিদুর পড় নি
কপালের সিদুর খানিও হয়ে গেছে একটু বাকা।
দেখ সেই কবে আয়নার সম্মুখে জড়িয়ে ধরে
ফিস ফিস করে বলেছিলাম তুমি সুন্দর।
সেই কবে খোলা জ্বানালা দিয়ে দুজনে তাকিয়ে তাকিয়ে
আরব্য রজনীর গল্পের মত করে ছিলাম রাত্রি জাগরন।
হয় না তোমার পাশে বসে তোমার চোখে চোখ রেখে
কিছু আকা বাঁকা বাল্যমি কথা বলা।
দুপুরের রোদ ভরে মাঠের শালিকের মত
কারনে অকারনে তোমাকে ডাকা।
দেখ কত কত খুশি আমরা , ঠিক আমাদের
ঘরের বাহির আকার কিবা রঙের মত।
অন্দরে কত কচ্ছপ আসবাব বাসন কোসন পত্র
কে দেখে কেইবা জানে তা?
আমরা ভুলে গেছি সুযোগে অসূযোগে সঙ্গ তোমার নিতে ,
দেবার মূল্য দিয়ে।
কতদিন হয়ে গেল তুমি তোমার মাথাটুকু রাখ না
আমার কাঁধে।
করো না একটু শক্ত অভিমান, রাগ কিবা অবহেলা
সারাক্ষন থাকি পাশাপাশি পাইনা তোমায় এক বেলা।
আজ আর নাকটি আমার ধর না আঙ্গুলে
একটি বার না জিজ্ঞাসিলে আছ কেমন্?কাঁদ না তুমি।
তোমার পোষাকে তোমার বর্নন না করিলে
কিছুই বল না তুমি।
দেখ আজ আমাদের এক সাথে হাটা হয় না হাতে হাত ধরে।
বৃষ্টিতে হয় না ভেজা কাক কিবা পাহাড় হয় না চড়া
দুজনের এক সাথে।


আজ শুধু গ্যাসের বিল , বিদ্যুতের বিলে
এই বিল সেই বিলের মাথার ঘামের দরে উন্মুক্ত চলাফেরা।
বন্ধ হয়ে আছে , খুব ভাল ভাবেই আছে বন্ধ হয়ে
চাদনী রাতের সেই পর্দা উড়ানু খোলা জ্বানালা।
আজ আর মিসকল আসে না ফোনে
হয় না লুকোচুরি করে দেখা স্বাক্ষাত।
স্বপ্ন দেখা হয় না তোমায় নিয়ে
কল্পনার তুলিতেও আস না তুমি
কোথায় যেন হয়ে গেল এক
আনন্দ বিভ্রাট।