সেদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল
মনে হচ্ছিল
আকাশের ইন্দ্র দেবতার মনে খেলা ফুল
জল কনা হয়ে মাটিতে পড়ছে...
আমের মুকুলে মুকুলে বহে যাওয়া বাতাস
ঘরের কোনায় লেবু ফুলটার গায়ে
শিউলী ফুলের গন্ধ আনে নি
তা নয়।
বাড়ির কোনায় কুল গাছের কাচা কুলে
লুকিয়ে ছাপিয়ে পাড়ার দুরন্ত বালক গুলো
ঢিল দিক
তা যে মনের গোপন নগরী গোপন ভাবে চাইতো।
তবে মা বলতেন ভয়ে থাক
পথ চলিতে চোখে বোরকা রাখ
দেহ টাকে রাখ কাপড়ে ছোপড়ের কৌটায় লুকিয়ে।
ছাপ্পান্ন বর্গমাইলের এলাকায় ছাপ্পান্ন পদমাটি যে
তোমার বাবার নেই।
তোমাকে যে ছুতে পারবে ছলে বলে কৌশলে
সেই হবে তাদের রাজপুত্তর
যদিও সে তোমার জন্যে যমরাজ।
তুমি কাদবে
তুমি আপনার শ্রী এর জন্যে অপরাধি হবে
তোমার মা , দিদিমা , দিদিমার দিদিমার মত্
অসহায় হবে এদেশে....
রাস্তার কুকুর গুলোর পাশে দেখবে
দাড়াচ্ছে স্বদেশ, দশ পাচ সমাজ্....
বেহেস্তে চলে গেছে
ওই কুকুর গুলোর
চৌদ্দ বংশিয় জ্যামেতিক হারে
যদিও তুমি আছ পরে নরকে.../
বাবা বলতেন ধ্যেত্
এত কী ভাবিস্...
কী আর বলিস্...
না হোক এদেশের সংবিধান আমাদের
বিধানের পাতায় না থাকুক স্বীকৃতি আমার মন্দিরের
তবু ও এ মাটি আমার
আমার জন্মভুমি...
আমার মাইয়া বলে কেনই
অযথা ভাবনা খানা রাখি।
দেখিস বড় হলে ওই ষোল ঘাটের মত
সত্যি আসিবে কোন রাজপুত্তর
রাজবাড়ি থেকে।
বাবার কথা শুণে মনে এসেছিল সাহস।
রাজরানী ভাবার এসেছিল কল্পনা প্রহর
তখনি বৃষ্টি ভেজা দিনটায় কাকশুক্রবারের আগমন
ঘরের চৌকিতে বসি দেখিতেছিলাম শাবানার কান্না,
অন্তরের অন্তস্থল থেকে করিয়া গ্রহন...
এর মাঝেই আসিলে তুমি
বসিলে চৌকির এক কোনে...
মাস্টার মশাই যে আমার।
বইয়ের পাতায় দুর্বোধ যত লাইন আছে
য্ত পথ আছে সেথায় হাত ধরে যে নামাও আমায়।
চ্চোখের কোনায় যে কাজল কালি লেগে থাকে আমার
তা যে তুমি সযতনে কর দূর।
বেশ সুনাম আছে তোমার ছাত্র পাড়ায়
মেট্রিক ইন্টারে গোল্ডেন প্লাস পাওয়া মাল যে তুমি
চেহারার সুদর্শনেও যেমন পড়েছে তার ছায়া।
হোক না ভিন ধর্ম তোমার
হোক না ভিন গোত্র পরিচয়
তবু তোমার প্রতি ছিল শ্রদ্ধা ভক্তি মায়া।
তুমি সেদিন হলে পুরুষ
সেদিন ই জাগল তোমার নখ মনে মনে
তূমি পড়া ছাড়িয়া বই ত্যাজিয়া
শাবানা আলমগীর বুঝালে যতনে...
বার বার খাতায় কলমে বুঝালে আপ্যায়নে।
আমি বুঝিলাম
সময়ের সিড়িতে বেয়ে বেয়ে এক সময়
বাবা মায়ের ঘর ছাড়ি শহরে আসিলাম।
লোকে জানে আমি একলা শাবানা
একলাই থাকি শহরে..
একলাই করি অফিস পাড়া একলা সাহসে।
কিন্তু তুমি যে ছিলে আমার গোপন আলমগীর
গোপন নারী বিশ্ব।
বাবার বলা রাজপুত্তর
চাদরে লুকানো কল্পনাগ ঈশ্বর।
তোমাতে নিলাম আমি উত্তম , অমিতাভ , রাজ্জাক্
আমাতে দিলাম ঢেলে সুচিত্রা ববিতা কবরীর হাবভাব।
সংসার সুখে করিলাম সংসার
আপনার সত্যায়ন দস্তগতে...
তবুও যে ভাবিতাম মাঝে মাঝে
জাতিসংঘ কবে আমাদের নিবে তুলে?
বছরের পর বছর গেল
গেল বদলে ঘরের পুরাতন টিভিটা..
আমিও বদলেছি বেশ
তোমার মন যখন যা চায় যেমনটা,,
কিন্তু একি
চাওয়া যে কবে বদলে গেছে তোমার মনে
আমা থেকে চলে গেছে অনেক দূরে।
তাই আমার হাতে আর পড়িতে চাও না লুঙ্গি খানি
খুলিতে চাও না মৌজা পা থেকে..,
আমার কচি দেহের কচি ময়ুরি হাতে
নিতে চাও না পিপীলিকা ম্যাসেজ।
আমার চায়ের চিনি গুলো লবন হয়ে লাগে তোমার খুনে..
কিন্তু আমি তো আজ আছি শাবানাহয়ে
শাবানার গতর লয়ে।
যদি জানতেই তুমি যোগ্য নই আমি
তোমার শহর বন্দর নগরে...
তাহলে কেন তুমি হরির লুটেলুটে
শিখালে শাবানা
হাতে পায়ে ধরে/
সংখ্যাঘরিষ্টের রাজপুত্তর হয়ে
কেন তুমি বানালে শাবানা
সংখ্যালঘুর
এই মাইয়াটারে?