মন্দের আবার যন্ত্রনা
ওদের কপালে যাই জুটে তাই তাদের সৌভাগ্য।
গায়ের রঙটা একটু কালো
লোকে বলে এমন কাল নাকি মাথার চুল ও না।
মেয়েটি ভাবে একটু সাবান দিয়ে ঘসলে
এত কালো সে লাগতো না।
শ্যামলা, উজ্জ্বল শ্যামলা বলত লোকে/
সেলিম , পলাশ যেভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে
সুগন্ধি সাবান দিতে চায় শত শত
সেভাবে দিতে আসিত বিয়ের সম্বন্ধ খবর
চেনা অচেনা ঘটক ....
নাম না জানা পাখিটাও দুপুরের টিনের চালার পর
বসি গাইত সুমুধুর।....
তালের পাখা নিজ গুনে বাতাস করিত
রোদে ফাটা উঠানে।
বৌদি বলিল , তার অপর তিন ঝায়ের কাছে
পানের বাটা হাতে লয়ে....
এমন অলক্ষ্মী কালি থাকিলে ঘরে
কোনদিনো আসিবে না ফুল
বাড়ির নারিকেল গাছে...
প্রজাপতি কেন
দাড়কাকও আসিবে না উকি ঝুকি
মারিতে...
এমন হাড়ি পাতিল কালো
পরগাছা  বাড়িতে যতক্ষন
ততক্ষন না আসিবে সাদ ফিরে
রান্না অন্নব্যঞ্জনে।
কী হবে এ কুলটার অগতি
আমাদের দূর্গতি নিয়ে এসে...
শুনেছি কাল টিভি চ্যানেলে
বিয়ে হয়না বলে কুরূপা ষোরসী
রশি দিয়েছে গলে..
আমি হলে বাপু
চোখের নিশানায় চলে যেতাম ঘর ছেড়ে।
কথা গুলো শুনেছিল বেশ মেয়েটি
বোবা মুখ খানি নিয়ে॥
বোবা হয়েছে সে বধির যে হয়নি....
কানের পর্দা যেমন দিলি ঈশ্বর
এর যে ফিল্টার একটা ছিল জরুরী।
জরুরী ছিল ভোট দানের ক্ষমতা
নিজেরই জীবনের পরে...
যেমনে দেশে সরকার নির্বাচনের হাওয়া বইছে
উৎসব দুঃখের তুফানের ভয়ে।


তুফান আসিল না সেদিন্
আসিল নির্বাচনের দিন
চারদিক হতে সুনামি গ্রাসিলো এক পলকে...
ফেরেস্তার ভেসে শত শত শয়তান এর জোয়ারে...
ধর ধর মালোয়ান ধর
ধর নৌকার
কাঠ বৈঠা লঘিরে...;
ভোটের মজা দে শিখিয়ে
শুয়রের বাচ্চারে।
গরুর মাংস করা ভক্ষন
সকল গনিমতির মালে/
তুর্কি নাচন লাগা আবার
এই বাঙলার ঘরে...
বধির বোবা দে করে দে
এই সকল হিন্দুর জনালয়টারে।
এমন হুংকার শুনি
শান্তি বাহিনীর দেখিয়া অশান্তির রূপ
মেয়েটি ভাবিল আজ বাচার নেই আর
কোন কুপ।
নেই কোন আশ্রয় ওরে জন্মমাটির ধরে
অবলা যদি হয় অসহায় কে বাচায় আর তারে?


বাড়ি শুন্য , ঘর শুন্য পুরুষ শুন্য জীবন
মরনের অপর নামে কহিল সে নাকি
বৃক্ষ শুন্য বন।
দেখিল চাহিয়া বাড়িতে কেহ নেই
নেই পিতার বানানু পিতামহের ঘর দুযার।
বৌদিটা শুধু ঝা সনে
ভয়ার্ত চোখে কাদছে বার বার।
কালো গায়ের কালো মেয়েটি
আসিলো প্রকাশে
দুর্গার সাহসে সে উল্ল কেশি হয়ে...
দাড়াল সকল নরপশুর সম্মুখে
শকুনের সম্মুখে আসা জীবন্ত গাভিনী
জানিলো অবশেষে তার কালো দেহটা কত দামী।
জানিলো এও খাদ্যযোগ্য
মূল্যবান অপরিসীম।
তারও সৈনিক দেহে শোধ হয়
বাড়ির কুৎসি ননদের ঋন।
বেচে যায় কুলবধু
বেচে যায় মালোয়ানের সম্মান্।
অশান্তির দূত চলিয়া গেলে
দরজা ভাঙ্গিয়া সিন্দুক কক্ষ থেকে
বের হল বৌদি দের জীবন্ত সম্মান।
উঠানের কোনে লুটপাটের চিহ্ণের সাথে
নিথর দেহে পড়ে আছে ঘরের কালো মেয়েটি
কানের ভেতরে লুকিয়ে রেখ্ছিল
বৌদের লুকানু সিন্দুক চাবিটি।
বোবা মুখে বোবা দেহে
বলে গেল সে অনেক কথা...
ননদী ননদী বলে বাড়িটি আজ
ভাঙ্গিল শুধু মাথা।


উঠিল রব
উঠিল শব
বলিল
ওরে কে কোথায় আছিস
দেখে যা তোরা।
একেই যে বলে মন্দের যন্ত্রনা।