বোতল গুনে গুনে প্রকাশ করে করে
রাত কে রাত বলা শক্তিটাই জানে না
রাতের জন্মদাতা মুনিটা,,,, কে?
জানলেও বলতে পারে না
এত সুন্দর মনোরম নির্লজ্জ বাতি লুকিয়ে
কে সাজিয়েছিল শহরের
সাদা কালো আলোর হাড়ির নিচে?
কে কে,,এমন স্বর্গ রাস্তা বানিয়েছিল
গ্রাম হতে বন্দরে,,,,
বন্দর হতে ওই চুম্বক দেশে দেশে,,?
যে রাস্তা দিয়ে মাটির নাম না জানা বিশুদ্ধ কলিও
রাতা রাতি বনে যায় মাংস খেকো রমনমোহন ফুল?
কে কে এমন নটরাজ,ধিরাজ মহাধিপতি
ড্রেনের গন্ধ পাওয়া নামের,,, সুধাটাও
আস্বাদন করছিল বৃষ্টি ভেজা অন্ধকারের
এক প্রকাশ্য দেয়ালের,,, ডেঙ্গু অন্তরালে?
তারে বা তাদের কি আমরা উৎসুক বিড়াল
চিনেও চিনি না সহজ সমান্তরালে ?
নাকি ভয়ের এক রানাপ্লাজা শক্তিহীনতায়
আমরাও শরিক তার সাথে,,অজানা আদালতে?
আমরাও যে শক্ত চামচ দিয়ে ভাংঙ্গতে পারি,,
কৌটার কোন বাহারি তালা,,,
ঠিক সেই চামচে,,, উলঙ্গ খাবার তুলে দিচ্ছি
সেই মহাধনশালীর বিলাসী পাতে?
আমরা লোহা কাপড় পরেও সেজে যাচ্ছি পরিমনি,,
আমরা পাথর হুংকারে মন্তব্য করেও অনলাইনে
হয়ে যাচ্ছি পরিমনি,,,বধির বয়ানে মাটির উপরে।।
আমরা আইন, আইন,নীতি নীতি বলে
গলা ফাটিয়েও হয়ে যাচ্ছি সৌখিন পরিমনি
নিশক্তির কারনে।।
আমরা ইচ্ছে করেই হাতে হাতে রেখে দিচ্ছি মদ
চোখে চোখে মেনে নিচ্ছি ইয়াবা
প্রানে প্রাণে বয়ে যাচ্ছি,,রম্ভা কিবা উর্বশী,,
সীমাবদ্ধতার বিশাল চড় লয়ে ক্ষুদ্র গালে।
আমরা পরীমনির চাকচিক্যমক্য অজানা আত্মা খেয়ে,,
সেজে যাই কোটি কোটি চেনাজানা পরিমনি
ওই নাগরাজদের ইশারায় আপন আপন ভুবনে!!
যে ভুবনে ভুবনে,, জ্ঞান,গুন,উপদেশ কিবা সন্দেশ
বন্ধ হয়ে যায় আলো দেখানোর হাতে,,
টিভির পর্দার ভেতরে ঢুকে যায় টিভির রিমোট।
পত্রিকার পাতা নিজেই হয়ে যায় মদের বাক্স
কিবা গাঁজার প্যাকেট,,আনন্দ অন্বেষণে।।
শুধু তুলসীবনের বাঘই হয়ে যায় আসল তুলসীবন
আপনার শক্তির মহাগুনে।।
আর তাইত পরিমনির কপালের টিপ সরানো হৃদয়
উন্মাদ হয়ে উন্মুক্ত মনে,, উচ্ছ্বসিত প্রাণে,,
ঘটি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,,, দুয়ারে দুয়ারে।
ভাবনা তার,,তপস্বা তার,,সৎ অন্তরে,,
কেমনে যে ধোয়াবেন পা,,
কেমনে যে তৃপ্ত করবে হৃদয়
ওই পরম শক্তিশালী অসুর সুদর্শন মহানায়কের?
বোতল গুনে গুনে,, পার করা সন্ন্যাসী ফকির
আরো বোতল গুনে প্রকাশ করার
কেবল মহাআশীর্বাদ পায়
আসল বিষাক্ত মদ,, ঢাকিতে সংসারের।।
###############
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
০৮/০৮/২১