১)
তোমার অমৃতে ঠাই হবেই।
কেন হবে না,,,?
তুমি তো মুখমন্ডলময় দরজার সামনে
লিখে রাখো নি
তোমার ইস্পিত ভাবনার লজ্জাবিলাস পরিচয়।
তোমার নামের আগে পিছে
কোথাও তো লিখো নি তুমি মানুষ,
তুমি মহামান্য,,, তুমি মহামানব।


তাহলে?
এত সব বিলবোর্ড বিজ্ঞাপন যে
করতে পারে না আপন মহিমায়।
যে পারে না অন্ধকার আঁচলের লোভে
দূরন্ত কলমের মুখে লাগিয়ে দিতে কন্ডম।
যে পারে না ঘোটক পেটের বেগে
ধর্ষক চিত্ত চেয়ারের সাথে,,
ভাসিয়ে দিতে মন্ত্রমুগ্ধ কালি,,
যে পারে না উদ্ভাসিত গিরগিটির মত
ন্যায়,নীতির সাথে করতে অভ্যাসের সহবাস।
যে করতে পারে না তারই বাক্য বাণী,,
ওই দেব দেবীর হুকুমের রক্ষিতা দাস
ওরে সে ই আসল রাজা
সে ই আসল রাণী
আপনার মহাশ্চার্য বিবেক সীমানায়।
তার স্থান,,স্রোতস্বিনী সময়ের বুকে
এমনি রয়ে যায়,রয়ে যায়।


২)


এক নিত্য মুকুল অরণ্য
আমাদের শ্বাসের মত হোক আজীবন৷।
স্বপ্নিল বাসরের মত পড়ুক ছড়িয়ে
বাতাসের গতিতে পরশ প্রিয় বাতাসে।
যার পরশে দিকে দিকে জ্বলে উঠবে
জোনাকি বাতি জোনাকির ঘরে।
স্বর্গ প্রয়োজনে,,অন্তহীন কর্মে
আপনার প্রাসাদে আপনি হবে প্রাসাদ
প্রাসাদের জন্য,,,
মুক্তিকে দিবে মুক্তির স্বাদ
প্রকৃতির প্রকৃত ব্যাকরণে।


যে ব্যাকরণে এ অরণ্য
সভ্যতাকে শিখাবে সভ্যতা।
এ অরণ্য প্রাণে জাগাবে
প্রাণের চঞ্চল ব্যাকুলতা।
এ অরণ্য  মর্ত্য প্রেম জাগাবে দৈব প্রেমে
এ অরণ্য আমার জীবন চেনাবে আমার জীবনে।
এ অরণ্য সৈনিক পবিত্র বন্য হবে,,,
চন্দন রূপে কপালে মনুষ্যত্ব তিলকে।


৩)
কে বলল তোমাকে আমার
অন্তর্যামী কবিতা পড়তে হবে?
কে বলল তোমাকেই শুনতে হবে
আমার ওঝার মত গান।
না না তার কিছুই করতে হবে
না জগৎ বিলাসী বিষ্ণুপ্রিয়া।
তুমি ঘুমের ঘোরেই জেগে আছ
এই অলৌকিক পৃথিবীতে,,
তোমার কল্যাণে বেশ ঘুমে আছে মাটি হতে দালান
বেশ শক্ত আছে জলের বৃক্ষ হতে দালান আসবাব।
এই সব মহান কিছুই যে দরকার হেথায়
আমরা কয় জন নিমাই না হয়
শুধু ইচ্ছে করে যাই পলায়ে,,,


পলাই আপনা হতে আপনি
পলাই এখন হতে এখনি
পলাই তরনী হতে মোহগ্রস্থ তরণী।