১)
এবার না হয় মরনের পর যে
আমি আসবই  স্বর্গ বাংলা
তোমার পরশি আঁচলের তলে,,,
বিনিদ্র কন্টক রজনী নয়,৷
শত সহস্র কোটি হর্ষিত দিবা ভাগ
লয়ে মনের অন্তহীন অন্দরে,,,


আমি কৃষ্ণ কালিতেও ধুতরা রঙের করব চাষ,,,
খোঁজে নিব নালার পাশ হতেই
সুমিষ্ট আতর,,,
শুটকি মাছের ভেতরেও দেখে নিব
তরতাজা প্রাণ,,,


আমি হইনা সংখ্যালঘু,,,
তবুও যে মাগো
আমি
তোমারই সন্তান।


২)
একটা যুদ্ধ চাই,
যে যুদ্ধ আমার মনের কুরুক্ষেত্রে
আমার বিরুদ্ধেই ধরবে অস্ত্র।
আমাকে শাসিয়ে তুলবে ,,, বেত্রের আঘাতে,,
ন্যায়ের রথে বিবেক সারথীতে
আমাকে শরাসনে বৃদ্ধ করে বানাবে
আজকের ভীশ্ম।


একটা নয় দুটা নয়
অজস্র জ্ঞানের তীর
বিদ্ধ করবে আমার মস্তিস্ক,,
আমার দুষিত রক্তের ফোয়ারায়
রঞ্জিত হবে চারদিক,, চারপাশ
আর আমি,,
এক নগ্ন চেতনার পূর্ণ মানুষ
আবৃত্ত হব জ্ঞানের পোশাকে,,,
জ্ঞানের কম্পিত লয়ে।


এমন একটা যুদ্ধ চাই প্রতিদিন
আমার মনে।


৩)


সত্যি শাণ দেবার প্রচন্ড রুদ্র সময় চারদিকে,,
হর্ণের মত ব্যাধি আজ করেছে গ্রাস সমস্ত রাস্তা।
মহাজান হয়ে মাটির অতলে ক্ষুদ্র জানেও
প্রচণ্ড শঙ্কা,,,
শুন্যের ঈশ্বরের চেয়ে
মাটির ঈশ্বর যে বাজায় বেশি ঢঙ্কা।


৪)
চমৎকার সব আলিঙ্গন চারপাশে,,,
যে ছেলেটি ঘরের মাটি তুলে রেখে দিত ছাদে,,
সেই সহসা ছাদকে নেমে আনলো মাটিতে,,,
এক বয়সে যে তার উলংগ ফুলেই বেশ ভাব,,,
এক বয়সে কিছুটা আবৃত্ত,,,
অত:পর,,,বাকী বয়সে তার ফুল নয়,,
শুধু বস্তা বন্ধি মধুতে সমগ্র
ঐশ্বরিক হাবভাব।


৫)


আজ আর হয়ত জ্বানালার পাশে
বাতাসের খটখটানি শুনে৷  
কেঁপে উঠে না তোমার ঘরের যেকোন বাতি,
দেয়ালে আদরে ঝুলিয়ে রাখা
আমারই সেই ছবিটি।


যে ছবিটার পেছনে মৃত্যু হয়েছিল আরো অসংখ্য জীবিত ছবির।
যে ছবিটা এক সময় আয়নার মত
তোমার কপালে পরিয়ে দিত টিপ
ঠোটের উপর লাল রঙ্গের হাসি৷।


আজ বাতাস আসলেই জ্বানালায়৷ কিবা দরজায়।
কে জানি বৈরাগ্য সুরে বলে তোমায়,৷
ওরে মেঘের দেশে মেঘে গেলেই ফিরে
চৈত্রের মাঠে চৌচির বুক নিয়েও বাঁচি,,,
আজ না হোক কাল
আসবেই বর্শার মত বর্ষা
এই বিশ্বাসেই আছি।


৬)
ভুইলা গেলা কবি,,
কীভাবে আমার কলি গুলি ফুল হয়,,,?
কবি ভুলে গেলে কেমনে আমার লাউয়ের কচি ডগা
ফল দেখে পৃথিবীতে,,?
ভুলে গেলে রঙধনুর সাত রঙ
কেমনে রঙ্গিন হয় আমার স্পর্শে,,
ভুলে গেলে কবি কেমনে
আমার ঘরে ফ্যানের পাখা ঘুরে
তোমাকে ভেবে?
ভুলে গেলে নাকি,,
আমার কলমে এখনো কালির জোয়ার আসে,,,,
ছটফট করে কলম,,,
শুধু তোমাকে নিয়ে,, একটি কবিতা লিখতে।


৭)
( এই লেখাটিব তাদের জন্য,,যারা রসবোধে জাগ্রত)


হাতটা নিচে দাও,,
কি মধুর মত ভেজা ভেজা লাগছে?
এটাও একটা মাংসপিন্ড,,,
মানুষে খায়,,,
আবার এটাই মানুষকে খায়,,,।


যেভাবে খাচ্ছে পতিতালয় হতে
ঘরের আলয়ে,,,
ধুর কি যে বল,,,
বিবেক চোখ লাগিয়ে দেখ,,,
শান্তি না পাও,,,
জেনে তো যাবে,,,এই পথেই
ঢুকেছিল স্বয়ং পিতৃদেব হতে,,,
আবার এই পথেই বের হলে
স্বয়ং মাতৃদেবী হতে।


গায়ের চামড়াটা ছেটে দেখ,, দেখ না,,,
পরম বীর্য আর চরম যোনী রসের
মিশ্রত গন্ধটাই কত সুন্দর,,!
কত সভ্য মানুষ
কত সভ্য এমন সৃষ্টির ঈশ্বর
আর কত পবিত্র সুন্দর,,,
তুমি,আমি আর আমরা।


যোনীর সত্য সুন্দর, জন্ম রূপ
ভুলে না কভু
মানবের মানব চামড়া।