১)


একা কেন?
পাশে তোমার ফুলদানী টা কোথায়?
যেথায় তোমার অজান্তেই
অনেক লাল ফুল জমা রেখে যায় কেউ,,
কেউ তার হাতের চুড়ি ভেংগে
শিকল বানিয়ে উপহার দিয়ে যায়,,,!
তাকে তুমিই সেই শিকল
ভয়ানক আদরে পরাবে বলে?
কই, কই সে ফুলদানী টা,
কই কই সে শিকল টা
যা অনিচ্ছাকৃত ভাবেও পারো না
না পারোই না ছাড়িতে,,পারো না ভুলিতে।


২)
মন,,সে কি মাটির নিচে লুকানো কোন জিনিস?
যে তার খবর রাখতে প্রত্নতত্ত্ব জানতে হবে,?
মন সে তো তোমার শার্টের রং,,
তোমার মাথার চুলের ব্যাসার্ধ,,
মন সেত তোমার মুখের ভাষা,,
যে সর্ব সময় হয় ভালবাসার চাষা,,
তোমার মনকে আমি
লোহায় ঢুকিয়ে দেখিছে সিন্ধুকে
সিন্ধুক ভেঙ্গে গেল,,লোহা উদাও হয়ে গেল,,
পড়ে রইল শুধু তুমি আর তোমার মন!


৩)


তোমার হস্ত গাছ হতে আমি লেবু ফুলের ঘ্রাণ
দিয়েছিলাম পাঠিয়ে তার বাড়ি,,
সেই ঘ্রাণ ফেরত আসল,, বিমুখ হয়ে,,,!
অভিমান তার,, ভুলে কেন গেলাম
তোমার ঘামের নোনা জল পাঠাতে উপহারে।
বাহ কী চাওয়া,,,
প্রেমের দরবারে,,প্রেমের আলিঙ্গনে!


৪)


ইস,,ব্যথা কি করে তোমার পাথর বুকে?
ওই যে পাশেই তোমার
ফাইল বন্দি কাগজ গুলিকে জিজ্ঞেস কর,,
ব্যথা কাকে বলে?
জিজ্ঞেস কর উপশম কাকে বলে,,,?
ব্যথার দরজা থাকলেই তো
উপশম এসে দাঁড়ায় দুয়ারে,,,।
যেভাবে বন্দি কাগজ গুলিও
মাঝে মাঝে ছোঁয়ে নেয় তোমারে,,
উপশমের ছলনা ভরে।


৫)
উত্তেজনা ভালো নয়,,পিয়াজের মত,,
ধীরে ধীরে শান্ত হয়,,,।
হু হু উত্তেজনা ভালোই নয়,,,
রাগের মত,,ধীরে ধীরে শীতল হয়।
ঠিক তোমার গায়ের মাংসপেশির মত,,,
কখন যে শক্ত হয়,,কখন যে নরম হয়,,
তা ঈশ্বরেরও নিয়ন্ত্রণে নয়।
তাহলে মনের ভাষা তা কি উত্তেজনার স্পর্শে
কভু রয়?