ধর্ষকের দাতের কামড়ের সমস্ত উপভোগ ছেড়ে
কোন মতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ নিয়ে
কোন এক নারী,,
বীরাঙ্গনা নারী যখনি পৌছল মন্দিরে,,
তখন পত্রিকাওয়ালা আঁকছে ধর্ষণের ছবি
টিভি ওয়ালা দেখাচ্ছে ধর্ষণের ক্লিপ
কবি বসে গেছেন কবিতা লিখতে আরেকটি,,
নেতা সাজাচ্ছেন আরেকটি ভাষণের আরেক লাইন,,
টকশো নির্মাতা পেয়ে গেছেন
আরেকটি শোয়ের বিশাল আয়োজন,,!
দেয়ালে দেয়ালে সাদা কাগজে তখন
কালো কালির,, আস্ফালন,,
শুদ্ধ- অশুদ্ধ আস্ফালন।
এর মাঝেই নারী উঠল বলে,,,
উলঙ্গ দেহে,,, পুরুষ দন্তের চিহ্ন লয়ে!!


মা গো,,, ও মা,,,তুমি না রক্ষাকর্তী?
তুমি না অসহায়ের হয় সহায়,,,অবলার হও বল,,,
তাহলে আমার গায়ের মাংস কোথায় মা,,,?
আমার গায়ের মাংস কোথায়?
ও মা আমাকে যখন টেনে হিছড়ে উলঙ্গ করে
নিয়ে যাচ্ছিলো নদীর শান্ত জলের উপর দিয়ে
নিয়ে যাচ্ছিল সবার উঠানের উপর দিয়ে,,
নিয়ে যাচ্ছিল সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে
লাল রঙের কবরের ভেতর!!
তখন তুমি কি ঘুমে ছিলে মা,,
তোমার সৈনিকেরা কি ছিল অচেতনে?
আমার মুখে যখন
পরনের লুঙ্গি ঢুকিয়ে দিয়েছিল লুঙ্গিওয়ালা
যখন আমাকে নিয়ে যাচ্ছিলো ধুতিওয়ালা
তোমার ছায়ায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া,,
তোমার স্কুল কলেজের উপর দিয়ে
তখন তুমি কোন ধ্যানে মগ্ন ছিলে মা?
তখন কী একবারো শুনো নি
আমি যে মা মা বলে কাঁদছি,,
আর বলছি
মা গো,, ওগো জননী আমার
তোমার আশ্রিতকে করছে তোমার আশ্রমে
পশুরা বলাৎকার।
বাচাও বাচাও গো আমায়,,জননী আমার!


না তুমি আমাকে বাঁচাও নি
তুমি পূজার মন্দিরে মন্ত্রের মোহে
বধির হয়েছিলে,,,,মন্ত্রের ভাষায়।
অন্ধ হয়েছিলে,,,, তোমার সামনে বসা
পুরোহিতকে দেখে,,,পুরুষ।।
ভেবেছিলে দেশ জুড়ে এমনি পুরোহিত
মন্ত্র পড়ে পড়ে পুজছে তোমায়,
পূজছে পুরুষ,, নারীর মহিমায়!!


নারে মা,,না!! ওরা তোমার পূজার ছলে
হাত দিল,,,আমার স্তনে,,
ও মা আমি ভেবেছি,, ওরা তোমার স্তনেই
দিয়েছে হাত!!
ওরা আমার দেহের প্রতি ইঞ্চি জায়গায়
বসালো কামনার রস,,
আমি দেখেছি ওরা তোমার দেহেই
লেপে দিলো ওদের বীর্য যশ,
মারে ওরা আমার গোপন জগতে
চালালো উল্লাস
আমি চোখ বন্ধ করে দেখেছি,,
ওরা তোমার সাথেই করছে এমন বিনাশ!!
তোমারে টেনে হিছড়ে নিয়ে গেছে জঙ্গলে,,,
তোমাকেই মুখ চেপে,, বানিয়ে দিয়েছে
ধর্ষিতা।
তুমি কান্না করতে করতে আমার চোখের জলে
তাকিয়েছ আমার দিকে।
তাই আমি মাটির সাথে মুখ লাগিয়ে বলেছি
তোমার আঁচলের  ছায়ার নীচে,,,বসে বসে।
মা,, মা গো ও মা আমাকে নয় মা,, আমাকে নয়
তুমি একবার তোমাকে বাচাও,,তোমাকে বাঁচাও
তোমার নগরে।
ওই দেখ মা,,দেখ,, দেখ
রাস্তা দিয়ে চলে যাওয়া গাড়িগুলি চলে যাচ্ছে
তোমার উপর দিয়ে,,
দেখ,,দেখ সব পাড়ায় পাড়ায়
মহল্লায় মহল্লায় তোমার চরিত্র হননের গল্প
ছড়িয়ে গেছে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে
আমার উলঙ্গ দেহের সাথে,,।
পাশের ঝোপঝাড়েই
মুচকি হাসি দিয়েই লুকিয়ে পড়ছে যৌন শিয়াল
আমার দেহের মাংস মুখে নিয়ে,,।


কিন্তু তাদের চোখে আমার ছবি নেইরে মা
তাদের দাঁতে আমার গায়ের মাংস রস নেই
আছে কেবল তোমার গায়ের মাংসের স্বাদ
তাদের সমস্ত যৌন চেতনায়।
আমি যে তোমার দেহের মতই নারী
তাদের জমানায়।।
আর তাই,,তাই গো মা
তারা আমাকে ধর্ষণ করেছে,,তোমাকে ভেবে
তারা আমাকে উলঙ্গ করেছে,,তোমাকে চেয়ে।


কিন্তু কেন মা,,কেন?
তুমি খড়গধারিনী,,ভুমিজননী
তোমার ছায়ায়, তোমার শরিরীর উপর
কোন সাহসে এমন সাহস পায়,, ওই পশুর দল?
তোমার খরগ তলে  কোন প্রেরণায়
এমন আস্পর্ধা দেখায়,,ওই হায়েনা সকল?
তাদের ধ্বংস করতে, তাদের বিনাস করতে
তোমার খরগে কি মা নেই কোন ধার?
তাদের বুকের রক্ত খেতে তোমার কি মা নেই
কোন শক্তি চমৎকার,,?


ও মা দেখ দেখ,,ওই দেখ,,
তোমার নাম শুনেই ঘরে ঘরে প্রতি নারী
সেজে আছে তোমার বেশে,,
তোমার চেহারার মুখোশ পরে।
এবার যদি ধর্ষিত হয় তারা
ধর্ষকের বীর্য যেন পড়ে,,,তোমার উপরে।


আমি যে ধর্ষিতাগো মা
তোমার মত নারী দেহ লয়ে
তোমারই শাসনের,,,,আবদ্ধ নজরে।
তাই আবার বলছি,, আঙ্গুল তুলে তোমারে
আবার যদি ধর্ষিত হয় নারী,,তোমার সাম্রাজ্য পরে
ধর্ষকের বীর্য যেন পড়ে,,,তোমার উপরে।


পড়বে কিগো মা,,তোমার উপরে?


##########
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
০৫/১০/২০