নিচেই সুরঙ্গ রাস্তা,,,তার উপরে জলের নদী,,
যে নদীর পর দিয়ে চলে গেছে এক উড়ালসেতু,,,
ঠিক সেই সেতুদিয়েই হেটে যাচ্ছি,আমরা দুজন,,,
কোথায় যাচ্ছি জানি না,,তবে হাটার দায়িত্ব কে জানি দিয়েছে তুলে কাঁধে,,,তাই হাটছি,,
সেই সাগর মন্থন হতে মন মন্থন,, হাটছিতো হাটছি!
এর মাঝেই কিছু প্রজাপতি যাচ্ছে উড়ে পাশ দিয়ে,,
যেন বিধাতার পরম আবেগে রঙের খেলা গায়ে নিয়ে,,,
কিন্তু তার তরঙ্গ,,! তার তরঙ্গ এসে লাগলো ঠিক আমাদের বুকের পশম সরিয়ে বুকেরই মাঝখানে,,
শুনেছি মন টা নাকি নানান সুরঙ্গ নিয়ে
থাকে বুকেরই ভেতরে,,,


তাই তরঙ্গটা উড়ালসেতু কাঁপার মতই
কাপিয়ে দিল কি জানি,,
আমি চোখ বন্ধ করলাম,,দেখলাম এই যে,, এই যে বিশ্বামিত্রের ধ্যান ভঙ্গ হল কেবল,,,
নীলকন্ঠ গরলের মতই পূজা করছে মদনের,,।
অহল্যাও পাথর জন্ম নিচ্ছে পুন: পুনঃ..
আমি চিৎকার দিয়ে উঠলাম,,
বললাম থাম থাম,,,থাম,,,
কিন্তু কে শুনে আমার কথা,,,নদী ছেড়ে জল
জলোচ্ছ্বাস হল সবলে,,,
আপন ইচ্ছায় দোলনার তাল তুলল উড়াল সেতু,,,
আর অমনি যে আমার সঙ্গে ছিল,,
আমি তাকে খোঁজে পেলাম না,,,
আমার সঙ্গে যে পুরুষ বন্ধুটি ছিল
তাকে খোঁজে পেলাম না,,,
পেলাম,,এক কঙ্কাল মূর্তি,,,
কেবলি এক পুরুষ মূর্তি,,,পুরুষ,,, পুরুষ,,,মূর্তি মূর্তি।
জলোচ্ছ্বাসের গ্রাসে যে দখল করে নিতে চাচ্ছে সব,,,
সব,,সব প্রজাপতি
ভয়ংকর ইন্দ্র শাসনে মনে যার কেবলি অহল্যা বাসনা,,,
আর অগ্নি শাসনে ধরে ধরে হরিণীভক্ষণ,,,প্রজাপতি-ললনা।


আমার সঙ্গে যে ছিল পুরুষ,,
তাঁকে আর পেলাম না,,,পেলাম না,,,
আমি একা,, আমি এক অদ্ভুত জীব,,
অদ্ভুত এক কামনা,,,
আমি এক পুরুষ মূর্তি কিন্তু পুরুষ না!!!!


###################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস