একটা চিঠি এলো,,
তখন বাইরে কিছু দামাল ছেলে
আইসক্রিম এসেছে আইসক্রিম এসেছে বলে
সে কি চিৎকার,,
আমার কি আর এখন আইসক্রিম খাবার বয়স আছে পাঠক,,
এখন যে চিঠি পড়া আর চিঠি লেখার বয়স,,,!
জানি চিঠি লেখার ধরন টা তিলে তিলে অনেক বদল হয়ে গেছে,,,
মোবাইলের বায়ন চাপলেই ভেসে উঠে ঝকঝকে লেখা,,
হবিগঞ্জ থেকে ঢাকা,ঢাকা থেকে দিল্লী,লন্ডন, প্যারিস, লিসবন কত কী লেখা যায় এক সাথে।
ভাবি ইস এমন করে যদি বাটন চাপলেই সব কিছু লিখা হয়ে যেত,,
সব কিছুই বলা হয়ে যেত,,
তাহলে এই পুড়ার প্যাক-কাদার চিঠি কে আর লিখত
কে লিখত,,ঘরের ভেতর একটা বিড়াল প্রবেশ করেছে ঠাকুর,,
কালো বিড়াল,,ভয় করছে খুব,,
কালো কালো চোখ,,চোখের ভেতর কি জানি বাতি
এই শব্দে শব্দে বিড়াল আঁকার চিঠি সত্যি কি কেউ লিখত,,?
কেউ লিখুক আর না লিখুক,,
আমি ঠিকই পাখির সাদা পালকে নিজের ঠোটের রঙ এঁঁকে দিতাম
যা দিচ্ছিও বটে,,,কিন্তু কই
এই হাতের মুটির জগতে
সেই পালকে পাল্টা আবির চিহ্ন মাখিয়ে ফেরত পাঠাচ্ছে কই,,
নাকি ফেরত পাঠানোর আর কোন পথ তার জানা নেই,,,,
জানা নেই কীভাবে আমাকে সে কদম ফুল
দিত উপহার বৃষ্টিতে ভিজে,,,
কীভাবে শাপলার বিলে ছোট্ট নৌকায় দুজন ভেসে যেতাম পড়ন্ত বিকালেও আনমনে।
নাকি সে ভুলেই গেছে লুকিয়ে লুকিয়ে খাওয়া,,
আমার হাতের নানান পিঠে,,,
ভুলে গেছে আমার কোলেতে মাথা রেখে জন্মজন্মান্তরেও শুয়ে থাকার শপথ,,
শুনেছি বিশ্বকোষে আপগ্রেড নামে কি জানি এক শব্দ যোগ হয়েছে,,
উঠানে রেখে দেওয়া হাড়িটার ভেতর বৃষ্টির জলের মত,,
নিত্য নতুন জল আসছে তো আসছেই,,
কিন্তু আমি তো আর নতুন বৃষ্টির জল হতে পারলাম নারে পাঠক,,
বড় জোর কাদা ভরা রাস্তায় ইটের টুকরো হতে পারলাম,,,
তাও পুড়া ইট,,নতুন বৃষ্টির সাথে নতুন জল হতে পারলাম না,,,
আপগ্রেড হতে পারলাম না,,
আমার মোবাইলের বাটন গুলির অনেক বদল হয়েছে,,
তবু সাদা কাগজের পরে কালো কালিতে চিঠি না লিখা ছাড়া কিছুই করতে পারলাম না।
আর পারলাম না বলেই দশ বছরের পুরুনো প্রেম,,সেই পুরুনো স্মৃতিতেই গেল রয়ে,,
আপগ্রেড আর হলো না,,
চাক চিক্য ময় আতশবাজির কাছেও
হার মেনে গেল আমার মোমবাতি,,আর তার আলো
আলোর আপগ্রেট আর হলো না,,,
কেমন হয় আলোর আপগ্রেট,,,?