একের পর এক প্রতিবাদ জানাচ্ছে আজ সে
কখনো নিজের বুক হতে নিজেই রক্ত বের করে
আবার কখনো নিজের নখ করে নিয়ে
নৃসিংহ অবতার।
যাকে আমরা গলায় রশি বেঁধে
কখনো রেখে দিয়েছি,, বিছানার নিচে।
কখনোবা মরুভুমির উপর
পাতা হীন বৃক্ষের শুকনো ডালে।
যাকে আমরা ভালবাসতে বাসতে করে ফেলেছি ঘৃণা
যাকে আমরা ঘৃণা করতে করতে,,দিয়েছি নরক যন্ত্রণা।
পদাঘাতে পদাঘাতে ইচ্ছেমত করে যাচ্ছি
অপমান, অপদস্ত,, সময়ে সময়ে।
আবার কখনো চুলায় ঢুকিয়ে দিয়ে
তার মৃত্যু মৃত্যু খেলায়,,
আমরা খেয়ে যাচ্ছি সুখের অন্ন,,,শোকের চিঠিতে।


সে চিৎকার করে বলে যাচ্ছে
বলে গিয়েছে বসে মৃত্যু চুল্লীর উপরে মরে মরে
আমাকে চেন,,আমাকে চেনাতে দাও
আমাকে অনর্গল মুক্তি দাও,,
আমাকে বায়ু সম স্বাধীনতা দাও
তোমাদের কেমিক্যাল পায়ের তল,,, জীবন হতে।
আমাকে যেভাবে পশু শিকল পরিয়ে রেখেছ
পাথরে,লোহায়,আগুনে কিবা ধোয়ায়!
আমাকে যেভাবে থুথু নোংরা করে যাচ্ছ
নদীতে,খালেতে,বিলেতে,,,সায়রেতে!
যেভাবে বেশ্যা নষ্ট করে যাচ্ছ,,কূপে, গুহায়,,কিবা
অজানা স্থানের অজানা অকর্ম কুকর্মে
এ থেকে আমি বিশুদ্ধ  বাঁচন বাঁচতে চাই,,
তাই আকুল আবেদনে বলছি বারবার
আমাকে আমার মত বাঁচতে দাও।
আমাকে আমার মত  থাকতে দাও।।
আমার মত বাঁচতে দাও,,বাঁচতে দাও,,।


আমার হাসিকে তোমরা হাসি বলে স্বীকার করো
আমার কান্নাকে তোমরা কান্না বলে স্বীকার করো
আমার দুঃখকে তোমরা দুঃখ বলে মেনে নাও
আমার জীবন কে জীবন বলে
তোমাদের জীবন পাশে স্থান দাও।
আর আমাকে কালো দাস ভেবে,,
রেখ না বেঁধে শুভ্রদের ইট ভাটায়!
তোমার ঘরের গোলাম করে  
আদেশ করো না আর,পাহাড় কাটায়!
বিকৃত ইচ্ছের চতুর্থ যৌন স্ত্রী করে
রেখে দিও না আমায়,,,,,বৃক্ষ নিধন পাড়ায়,,।
রেখে দিও না আর
তোমাদের পলিথিন বিশ্বাসের অনুগামী করে।
তোমাদের বন উজার,বরফ উজার,
জল উজার করার মিছিলে মিছিলে
একবার কেবল একবার,, ভাবো আমারে
আমার মত করে,,,আমার নজরে।


আমি দাস নই
ফ্রিজের ভেতর রেখে দেওয়া খাবার নই
আমি তোমার গনিমতির মাল নই
আমি তোমার কোরবানি কিবা
মন্দিরের পশু হত্যার গল্প নই।
আমি নদী ভরাট বিলাস নই
আমি জল শুকানো গুন্ডামি নই,,
আমি তোমার পাপের ফসল পাপ নই,,,,
আমি তোমার হাতের লাঠি নই,,
তোমার হাতের বাদর নই
আমি কেবল আমি,,
আমি বিশাল,আমি ক্ষুদ্র
আমি মহান,,আমি বলিয়ান
আমি সাহসী,,আমি ভীরু
আমি আমার সব,,,আবার শব
আমার আমিতে
যদি জাগি রুদ্র মূর্তিতে
চন্ডাল রূপেতে,,,নিজেরে নিজেই বাঁচাতে।
আমি যদি সেজে চাই ভৈরবী,, ভৈরবী প্রাণেতে
তোমাদের অপমান অপবাদের স্তুপে স্তুপে।
তোমরা জলোচ্ছ্বাসে,ঘূর্ণিঝড়ে,
সুনামি কিবা ভুমিকম্পতে
চিনে নিও আমায়
আমার প্রতিবাদের বাধ্যগত ভাষাতে।
জেনে নিও নিরীহও হয়ে যায় হিংস্র
হিংস্রতা যদি দেয় না তারে রেহাই
সামান্য বাঁচিতে।।