আমি হেঁটে চলেছি ভোরের শিশির মাড়িয়ে
আমার পা ভিজে ভিজে আসে জলের স্পর্শে
কচি ধানের পাতার সবুজ চোখের আরাম,
আমার পিতার গায়ের ঘাম মিশে থাকা যে মাটি
সে মাটির আমি সন্তান। এ আমারই আপন গ্রাম।
চেনা মেঠো পথে হেঁটে চলা আমি কৃষকের সন্তান
শিরিষের মগডালে বসে ঘুঘুর ডাক যেন আত্মার গান।
ঢেঁড়সের গায়ে কচ করে কামড় বসানো আমি বুঝি নি
শহরের ইট পাথরের মাঝেও আমি নিজেকে খুঁজি নি।
বন্ধী সঙ্গমের মাঝে গুমরে মরে আত্মার করুণ চিৎকার
অথচ ভোরের সূর্য বলে যায়-
ভোর হলো দোর খোল এবার।
করলার ঝুলে থাকা খসখসে দেহে পিতার সংসার
কাঁচা মরিচের সাথে বউ টুবানির গৃহস্থালি আদর।
বুলবুলির খুঁটে খাওয়া কুমড়োয় লেগে থাকা আবীর
এসবই আমার চেনা গন্ডির পুকুরে ডুব সাঁতার।
আমি আজও খুঁজি মায়ের বকুনির সাত সতেরো পদ
মুখস্থ মানুষের ভিড়ে বড়ই দূর্লভ সে লোভনীয় স্বাদ,
এ যেন চেনা পরিবেশে অচেনা লৌকিক মাহফিল
আমার মায়ের কোলে আজও হয় ফসলের আবাদ।
কিছুটা বরং স্বস্তির শ্বাস নিই, ফুসফুস ভরুক বাতাসে
আমি যেন মিলেমিশে যাই এই মাটির বুকে অবশেষে।


রুবু মুন্নাফ
১৩-০৪-২০১৮
দক্ষিণ রায়পুর, লক্ষ্মীপুর।