ভীষণ ক্লান্ত, শ্রান্ত যেন অবশ দুটি পা
বয়ে চলা জীবন বুঝি অনুকম্পা।
ভোরের শিশির ঠান্ডা রোদে শুধুই ঝিমায়
মলিন চাঁদ প্রিয় শোকে কথা কইতে চায়।
সংসার বুঝি না; জীবন যেন অসীম কারাগার
বালির স্রোতে পানি খোঁজে, হায় মরীচিকা যাযাবর।
বুকের গহীনে দামামা বাজায় নিজের হন্তারক
ছোপ ছোপ ব্যথা গুমরে মরে কোথায় সে আরক।
পঁচে গলে কেন নিঃশেষ হব থেকে দীর্ঘকাল
তার চেয়ে তো এই ভাল ডাকছে মহাকাল।
ফেনিল সাগরে উপচে পড়ুক আমার কৃশ তনু
কিংবা অসীম পাহাড় ডাকুক আমায় দিয়ে কৃপাণু।
এই বুঝি শেষ, জীব নিঃশেষ, রোগশোক অতিদূর
জীবন বুঝিরে এমনি করে বানায় মহাসমুদ্দুর।
ঘুমায় হন্তারক আমার গভীরে ফালা ফালা করে কাটে
কী নিদারুণ বিষে নীল হয়ে যায় আমার জীবন তটে।
বুকের গভীরে ধড়ফড় করে আটকে অদৃশ্য রশি
টেনে চলা শ্বাস জীবনকে বয়ে চলে আরেকটু বেশি।
এইতো বেশ, রাত্রি শেষ, পুরায় বুঝি নিদালী
জীবন যেন থমকে থাকা মহাকালের হেয়ালি।


রুবু মুন্নাফ
২২-১২-২০১৭
দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা।