তারা জ্বলা-নেভা অসীম আকাশ,
জোনাকির আলোটা হেসেই যাচ্ছে
আর সলাজ ভঙ্গিতে মৃদু চোখ টিপছে
এ কেমন ঘোর লাগা বিবশ আবেশ।


কোন এক অলস দুপুরে বল্গা হরিণীর অবাক চাহনি
কত নিদ্রাহীন রাতের সাক্ষী হয়ে আছে,
সেই ঢুলুঢুলু মাতাল রাতে কার তপ্ত চুম্বনের অনুভূতি
সারাটি সত্ত্বায় আর অস্তিত্বে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।


স্রোতস্বিনী কুলকুল ঢেউয়ে কোন দিগন্তে চলে গেছে
কোথায় তার সাগর কোথায় সেই ঢেউয়ের ঘর,
এ কেবলই অবচেতন মনের বিকারে হয়েছে
নাকি সত্যিই থমকে থাকা সময়ের ঘোর।


সে এসেছিল, অতি গোপনে,
গোলাপের পাপড়ির ন্যায় তার কোমল অধর
কি অপরিসীম আবেগে গভীর চুম্বন এঁকেছিল
বাতাসে এত কানাকানি-
যেন তার চুম্বনের খবরটা জানে।


রুবু মুন্নাফ
১৫-০৬-২০১৮
দক্ষিণ রায়পুর, লক্ষ্মীপুর।