ক্ষমা কর হে ধরণী
আজকে আমার রইল মিনতি,
তোমার বুকেতে লুকিয়ে থেকে
করেছি কত না অন্যায়-
তোমার বুকেতে থেকে
দিয়েছি আঘাত তোমাকেই;
আজকে আমার করজোড়ে মিনতি
ক্ষমা করে দাও হে ধরিত্রী।


তোমার বুকেতে মেরেছি লাথি কত
কত না মেরেছি পাখির ছানা,
ভেঙ্গেছি কত না তাদের ডানা।
প্রজাপতিদের ও দেই নি নিস্তার,
তুমি সহ্য করেছ সব নীরবে।
মাফ চাই, ক্ষমা করে দাও-
কত ঢিল ছুয়েছি পাখির বাসাতে,
দেই নি তাদের শান্তি এতটুকু
ধরে এনেছি তাদের ছানাদের
আটকে রেখেছি খাঁচাতে।
এসব মনে পড়ে যায়,
ভেবে ভেবে সব কথা
ঘুমাতে পারি না রাতে।
কত না নিশি জেগেছি
ফেলে দু'চোখের জল
তবুও পাই স্বস্তি যদি-
পাই না বুকেতে বড় ব্যথা।
আজকে মনে পড়ে যায়
ঝিঁ ঝিঁ পোকাদের ধরেছি কত
মেরে ফেলেছি কত শত শত।


ক্ষমা করে দাও হে জননী
আজকে বড় ব্যথা লাগে
ওই সব কথা ভেবে ভেবে
পাই না মনে শান্তি এতটুকু।
তুমি মাফ করে দাও
তোমার অধম সন্তান আমি।
তোমারই খেয়ে তোমাকে
কত যে দিয়েছি কষ্ট-
তোমারই বৃক্ষের বায়ু খেয়ে
ডাল ভেঙ্গেছি তাদের;
তোমারই পক্ষিকুলের ডাকে
ভাঙ্গিয়েছি ঘুম সকালের।
তাদের উপকার করি নি স্বীকার।
ভেঙ্গেছি তাদের বাসা।
মেরেছি কত না ঘাস ফড়িং
পিষিয়ে মোর পদতলে।
কত মাঠের ফসল মাড়িয়েছি
ভেঙ্গেছি কত না ধান গাছ।
আজকে মনে শান্তি পাই না
ওই সব কথা ভেবে ভেবে।


তুমি কী ক্ষমা করবে না জননী
দিবে না আশ্রয় তোমার বুকেতে,
অন্তিম ক্ষণে আজকে আমার
রইল মিনতি তোমার কাছে
তোমার কোলেতে নিও আমার সমাধী
তাতেই আমি পাব শান্তি।
বিদ্বেষ রেখো না মনে এতটুকু
তুমি ক্ষমা করে দিও আমায় ধরণী।


রুবু মুন্নাফ
২৫-০৩-২০০১
দক্ষিণ রায়পুর, লক্ষ্মীপুর।