ধূপ, ধুনো, তুলসী পাতা,
তার মাঝে একখানি নিমের ডাল
অসহায় সন্তানদের কান্নার রোল
এবং একটি সংসারের দুঃখ গাঁথা।


নিমের নির্জীব পাতা কাপেঁ-
বাতাসে বারে বারে হেলে পড়ে যায়,
সংসারে নিমগ্ন জননীর স্বপ্ন
এক লহমায় ধূলোয় লুটায়।


কালের সাক্ষী নিম বেড়ে ওঠে
জননীর দেহের পুষ্টি শুষে নেয়,
ধীরে ধীরে বেড়ে নিম
মহীরূহ রূপ নেয়।


নিম কি জানে, তার দেহের নিচে
লুকিয়ে আছে দুঃখ পাহাড় সমান,
স্বামী, সন্তানের হাহাকার আর
অতৃপ্ত জননীর দুঃখ অপুরাণ।


লিকলিকে শরীর নিয়ে জননী
চড়ুই'র মত লাফায়,
কখনো এ ডালে, কখনো ও ডালে
তবুও জননী স্বস্তি না পায়।


ফরিদপুরের মধুখালী গ্রাম
এখানে জননী রচিছে তার ধাম।
স্বামী, সন্তান নিয়ে তার ঘরকন্যা
সেখানে যত না ছিল প্রাচুর্য
তারও অধিক সুখের বন্যা।


এক-এক দুই, তারপরে দুই,
মাতৃবক্ষে ফুটল চারটি কুঁড়ি।
আলো খায়, বায়ু খায়
দিনে দিনে বেড়ে যায়,
কিন্তু একি! ফলবতী হবার আগেই
মাতৃ বৃক্ষ মাটিতে লুটায়।


কুঁড়ি কি ফুটল আদৌ?
ওরা যে আলো খায় না, বায়ু খায় না,
মাতৃ বৃক্ষের স্নেহের পরশ পায় না।


ওরা কি আজও আঁকড়ে আছে?
নাকি বৃন্তচ্যুত হয়ে ধূলোয় লুটাচ্ছে।
বৃক্ষ কি নির্জীব ডালে ধরে রেখেছে?


ওহে পান্থজন, তোমরা কি বলতে পার
তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে?


রুবু মুন্নাফ
৩১-১০-১০
নাজিমুদ্দিন রোড, ঢাকা।