কে হাসে, ওপাশে, সলাজে কাঁপে দুচোখের পাঁপড়ি
কি আবেশ,অনিমেষ,চেয়ে থাকা অপলক দৃষ্টি আনাড়ি।
মেয়ে তুমি জানো নাকি পাশে বসা কতটা দুস্কর
বামপাশে ঢিবঢিব কেঁপে চলে অবিরত লাগে ঘোরঘোর।


আজ তুমি ছুঁয়ে ছিলে খুব যতনে ঢেকে রাখা অন্তর
লাল লাল ওই গাল ছুঁয়ে দিতে মন চায় বহুকাল,
হায় রোদ! এত তেজ ছিল আজ আগুনে ভরা সূর্যের
পাশে তুমি বসে থাকা চুপচাপ, কি যেন ভেবেছিলে- আনমনে গুনগুন গেয়ে ওঠো কোন এক সুরের ব্যঞ্জন
তবু যেন চেনা মনে হয়,আপন তুমি ছিলে ধরে মহাকাল।


কতটা নির্দয় ছিলে তুমি ওগো ধরণী
ফোঁটা ফোঁটা ঘাম ঝরে তবু তুমি দয়া করো নি।
চায় মন, দুনয়ন অশ্রু ঝরাক নামুক হয়ে শান্তির বৃষ্টি
এত যে ভেবে মরি, তবু মেয়ে কেন তোমার আনত দৃষ্টি।


কি হলো আজ এই মনে কিছুতেই বুঝতে পারি না
ছুটে চলা গাড়ি তবু ছুটে যাক কোথাও যেন থামে না।
ভালোলাগা একরাশ, থেমে থাকুক চারিপাশ মৌমাতে
কি মৃদঙ্গ সুর তোলে দুহাতে তোমার ওই চুড়িতে।


চুপচাপ চেয়ে থাকা নীরবতা আমাকেও ছুঁয়ে যাক
আঁড়চোখে চেয়ে দেখা ভালোলাগা দৃষ্টি তোলা থাক।
ওগো মেয়ে, কি কারনে পাশাপাশি আজ তুমি বসলে
জানবে না হয়তো কোনদিন কতটা ক্ষতি তুমি করলে।
থাক, থাক তোলা থাক ভালোলাগার মোহময় সুখস্মৃতি
হয়তো কোনদিন পাশাপাশি তুমি আমি দুজনে
আবারো বসবো হাতে রেখে হাত এইটুকু আকুতি।


রুবু মুন্নাফ
২৬-০৬-২০১৮
দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা।