আজ আমার পাশটিতে গোল চশমা পরা যে মেয়েটি বসেছিল
তার হাসি ছিল মুক্তো ঝরা! অবশ্য একবারই হেসেছিল
বাম পাশের গালে টোল পড়ত, নিখুঁত, নিটোল
আর মাঝে মাঝে কি এক মগ্নতা নিয়ে উদাসী হয়ে যেত
যেন কোন সুদূরে হারানো কিছু খুঁজে খুঁজে ফিরছে
ধ্যানমগ্নতাও যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোন ছায়াছবি
আর উসখুস হয়ে এদিক ওদিক ফিরে ফিরে দেখা।
গোলমুখ মেয়ে চিরকালিক আদরনীয়া হয় শুনেছি!
তাই কী লম্বাটে মুখের শ্যাম মেয়েটি গোল চশমা পরেছে
যেন আরো বেশি আদরনীয়া হয়।
কিন্তু মেয়ে কী জানে এই কাটা কাটা লম্বাটে চেহারা কতটা মিষ্টি হতে পারে!  
আমি অবাক হলাম চশমা তার আভিজাত্য কতটা বাড়িয়ে দিয়েছে তা দেখে।
নাম জানা বাতুলতা,
এই মেয়ের তো নামের দরকার নেই।
এ তো সদ্য তোলা নীল গোলাপ।
নীল গোলাপই ঠিক আছে,
কিছুটা তো রহস্যময়তা নারীকে মানায়।
এ কী কথা কইবে না!
এত চুপচাপ মাঝে মাঝে হয়ে যাচ্ছে,
মনে হয় এক আসমান বিষন্নতা ভর করেছে!
থমকে থাকা বিকেল মনে হয়
যেন কোন দিনই ভোরের ফুল হয়ে ফুটবে না।
আমার তন্দ্রা লেগে আসে, ঘোর ঘোর লাগে
যেন মেয়ে আমায় ঘুম পাড়াতে চায়।
আমার চোখ তলিয়ে যায়, গভীর থেকে আরো গভীরে
স্বপ্নের কী এতটুকু দায় নেই!
আমায় কেন তাড়িয়ে বেড়ায়।


রুবু মুন্নাফ
০৪-০১-২০১৮
গুলশান-২, ঢাকা।