এই ধরনের কবিতা আমি খুব একটা লিখিনা। তবে কিছু কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লিখে ফেলি।


আদিম, মধ্যযুগ পেরিয়ে আজ
এই অতি আধুনিকেও-
আমার পায়ে বেড়ী পড়েছে তোমার জন্য।
মা বলে দিয়েছে-
পড়া হোক বা না হোক,
সাতটায় বাড়ী ঢোকা চাই।
স্যারের বাড়ী অন্য কেউ না থাকলে ফিরে আসবে,
কখনো বলেছে-
গার্লস কলেজে না হলে
পড়াশোনায় ইতি টানতে হবে।
অনিল, বিমল, রতন, আকাশ-
ওরা কিন্তু ছেলে, তাই-
বন্ধু হতে পারেনা।
আমিও তোমার প্রতিটা কথায়
আজ শুধুই জটিলটা খুঁজি।
অথচ, এটা তো তোমার প্রাপ্য ছিল না।
অথচ, সেই কবে থেকে তোমার আর
তোমাদের জন্য-
আমার মা দিদিমারা অভুক্ত থেকেছে,
তেলে-জলে, দুধে-ভাতে রাখার
কঠিন সংকল্প নিয়েছিলো একদিন।
এই তুমিই একদিন ছিলে তাদের
ঠাকুরঘরের বিষ্ণু এবং শিব।
একদিন তুমি কৃষ্ণ ছিলে কৌরব রাজগৃহে।
মনে পরে?
আজ তুমি বদলে গেছো অনেক।
ঠিক কতটা সময় নেবে বলত-
অভিধানে নারী মানে
ধর্ষণ লিখে দিতে?