কালঘুম থেকে উঠে বসে মেয়েটা দেখল
উরুতে ওর বয়ে যাচ্ছে লাল নদী;
খালের ধার, মৃত পশুর নাড়ি ভুঁড়ি,
পচা মাংসের কটু ঘ্রাণের সাথে মিশে গেছে
ওর নারী-গন্ধ, আহত কাম আর ছড়ান বীর্য।
আরও একটা নদী ছিল মেয়েটার চোখে ও বুকের অন্তঃস্থলে,
আজ বোধহয় তা শুকিয়েছে এই মরা খালটার মতো,
লুকনো ফল্গু লজ্জা হয়ে নেমে এসেছে উরু বেয়ে,
এই রক্তিম মেয়েটা এখন কোথায় যাবে??
এই খটখটে বালি, মরদেহ পেড়লেই তো
বিশাল নাগরিক শ্মশান,  ওখানে পুড়ছে
ওর ইচ্ছে, স্বপ্ন, ভালবাসা ধিকিধিকি আগুনে।
হয়তো, আরও কয়েকটা মেয়ে আসবে, তারপর
একদিন সব রক্তিম মেয়েগুলো আবিষ্কার করবে
ওদের লাল নদীর ধারা থেমে গেছে সেই কবে,
হয়তো সেই দীর্ঘ শ্মশানের সব চিতা নিভিয়ে
ওরা বেরিয়ে আসবে, জ্বালাবে পাল্টা আগুন।
সেদিন ওদের কে আটকায় আমি দেখতে চাই।।