যদি কোনদিন মনে পড়ে,
সেই সৃষ্টির আদি কথা-
তবে একবার ফিরে এসো -
ফিরে এসো এই বুকে!
এসো আমাকেই মনে করে।
ফিরে এসো আগের মতন -
যখন তুমি  ঘুমিয়ে ছিলে,
আমার অস্তিত্বের জল তরঙ্গে!
মিশে ছিলে সহস্র বছর।
এই বুকের গহীন অন্ধকারে,
আলো ছড়িয়েছো নক্ষত্রের রাতে!
কখনো আবার ওই ছায়াপথে,
হটাৎ উল্কার মতো জ্বলে,
মিশে  গেছো বায়ুমন্ডলের গভীরে।
তারপর এক মাহেন্দ্র ক্ষণে,
দেখলাম  অদৃশ্য বাতাস থেকে,
ঝরে পড়ছে দৃশ্যের জল।
জল থেকে একবিন্দু রক্ত!
রক্ত থেকে আবার মাংসপিণ্ড!
এভাবেই চলতে সৃষ্টির ইতিহাস -
মাতৃগর্ভের অতল অন্ধকারে ঘুমিয়ে,
একদিন ঘোর শ্রাবণের সন্ধ্যায়,
তুমি এলে মানুষের রূপে,
পা রাখলে এই মাটির দেশে!
নশ্বর জীবনের ক্ষয়িষ্ণু  পথে,
জাগতিক মোহে অন্ধ হয়ে-
ভুলে গেলে অতীতের স্মৃতি,
ভুলে গেলে শ্বাশত পথ-
স্বাধীন ইচ্ছেধারী হয়ে,
হারিয়ে গেছো মানুষের ভিড়ে।