আপন ভেবে যারে আমি,
দিয়েছিলাম এই বুকে ঠাঁই,
হটাৎ করে সেই মানুষ-
হারিয়ে গেছে কালের মোহনায়!
তবুও তাকেই ভেবে ভেবে,
কেঁদে হই দিসে হারা!
শ্রাবণের অঝোর ধারার মতো,
ঝরে পড়ে চোখের জল,
দমকা হাওয়ায় উড়ছে মন!
কষ্টের হিম কুয়াশার আড়ালে,
মুখ লুকিয়ে আছি বহুদিন,
এবার থেকে তোমার ওই,
পরিচিত কণ্ঠের গান শুনি-
আজও ভরা ভাদ্রের শেষে,
বাড়ি থেকে দূরে এখানে -
বাকখালী'র ঘোলাটে স্রোতের তালে,
বয়ে যায় নৌকার পাল-
ছুটে চলে বঙ্গোপসাগরের জলে।
জীবন আর জীবিকা'র তাগিদে -
ঠিক মৃত্যুর কাছাকাছি দাঁড়িয়ে,
খুঁজে ফিরি জীবনের ঘ্রাণ!
যখন বিশাল জলরাশির বুকে,
নেমে আসে সন্ধ্যার আরতি -
হারিয়ে যায় দিনের আলো-
মুঁছে যায় ক্ষণিকের পদচিহ্ন!
তবুও জীবন বয়ে চলে -
নতুন আরেকটি সকালের প্রত্যাশায়!
চেয়ে দেখি জীবনের মাঠে,
আপন বলে কেউ নাই!
যা দেখি পোড়া চোখে,
শুধু নোনাজলের মৃদু ঢেউ,
অসংখ্য বিচিত্র সাম্পানের মেলা!
সাদা গাঙচিলের ঝাঁকের ভিতর,
খুঁজে নেই ক্ষণিকের সুখ।
অজান্তে কখনো আবার আমি-
ফিরে যাই অতীতের মাঠ-
যারা একদিন মিশে ছিলো,
আমার জীবনের চার পাশে -
বলে ছিলো একদিন কতকথা,
মেকি সম্পর্কের দোহাই দিয়ে-
বলে ছিলো তোমাকেই ভালোবাসি-
অথচ জীবনের শেষ বেলায়,
চেয়ে দেখি আমার পাশে-
আপন বলে কেউ নাই!
চারপাশে আমি যাদের দেখি-
তারা  শুধুই যেন পরিচিত!
এর বেশি কিছুই নয়!
আমিও চাইনা বেশি কিছু।