আর কতটা অস্থির হলে,
আমার দেখা স্বপ্নের আকাশে,
দেখবো তুমি নামের চাঁদ!
আর কতটা ডুবে গেলে,
খুঁজে পাবো বিলুপ্ত শহর!
সেই নগরীর অলিতে-গলিতে,
তোমার পদচিহ্ন আছে বলে,
আজও অনুসন্ধানী তীক্ষ্ণ চোখে,
খুঁজে বেড়াই অতীত অন্ধকারে।
জীবনের মাঠে কল্পনার উদ্যাণে,
সহস্র বিচিত্র জনতার  ভীড়ে,
শরতের  স্নিগ্ধ কাশফুলের ছায়াতে -
সাদা পাপড়ির সুক্ষ্ম কোনায়!
তোমার অস্তিত্ব অনুভব করে,
নিজেকে হারাই ভাবনার আকাশে।
কখনো আবার  ফিরে আসি-
আশ্বিনের  ঘোলাটে চাঁদের মতো,
মৃদু আলো ছড়িয়ে দেই -
তোমার ক্ষয়িষ্ণু মর্মর পাথরে!
এক জীবন্ত লাশের মতো।
নির্বাক চাহুনিতে চেয়ে দেখেি,
তুমি নামের অদৃশ্য শশী।
তারপর এক আষাঢ়ের রাতে,
ফিকে হয়ে মিলিয়ে  যাই-
দূর থেকে আরও বহুদূর!
পৃথিবীর আলো আর অন্ধকারে,
পড়ে থাকে ক্ষণিকের পদচিহ্ন,
শ্যাওলা মাটির রঙচটা দাগ,
বুনো পথে বয়ে যাবে,
পঁচা পাতার পরিচিত ঘ্রাণ,
ঝরা শিউলি ফুলের মতো,
ঝরে যাবো না পাওয়ার বেদনায় -
হয়তো মুঁছে যাবে একদিন,
আমার নামের শেষ স্মৃতি।