সৃষ্টির আদিতে আমি তোমাকেই,
দেখেছি শুধু তোমাকেই দেখেছি!
একবার  নয় দেখেছি বহুবার!
বহু কালে বহু বসন্তের,
সুশীতল নিবিড় ছায়া তলে!
যখন স্রষ্টার স্বমহিমার সুবিস্তীর্ণ জলে,
তুমি আর আমি ভাসমান ছিলাম!
তখন নিভৃতে সেঁধেছি তোমাকেই।
কেবল তোমাকেই পাবো বলে,
জেগেছি কত নিশি দিন!
সেই নিস্তব্ধ লহমা'র অন্ধকারে,
তুমি সহসা কেঁদে উঠেছিলে,
নব জীবনের প্রাণের দাবীতে।
এর পরে সৃষ্টির মহামায়া ভুলে,
মহাকালের সোপান বেয়ে এসেছি,
আমরা এই কল্পিত পৃথিবীতে!
ভিন্ন দেহে অভিন্ন সত্তার রূপে,
এসছি এই নশ্বর পৃথিবীতে।
প্রকৃতির কোলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে,
কেটেছে হাজার বছরের দিনরাত্রি।
ভুলে গেছো তুমি ভুলিনি আমি,
তাইতো তোমাকে আজও খুঁজি ফিরি,
রাতের আকাশে দিনের আলোতে!
হৃদয় মন্দিরে আসন পেতে,
সহস্র কোটি বছর ধরে,
ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছি এই পথে,
শুধু তোমার প্রতিক্ষায়!
এই পথের শেষে একদিন,
আসবে ফিরে সেই কামনায়!
পথ চেয়ে দাঁড়িয়ে আছি,
শুধু একবার শুধু একবার,
ওই মুখ দেখবো বলে।
আজও অদৃশ্য কারার প্রাচীরে,
সহসা তুমি ছুটে আসো-
তপ্ত সাহারার কল্পিত জলে,
বুনোহাঁসের মত ভেসে বেড়ায়,
তোমার অদেখা মুখের প্রতিচ্ছবি!
কখনো নিশাচর বিহঙ্গের মতো,
শব্দ করে উড়ে যাও,
সূদুর আকাশের অসীম নীলিমায়!
আবার ফিরে আসো ঝড়ের বেগে,
চির শান্তির সুষমা হয়ে।
স্বর্গীয় অনুভূতি পরশ পেয়ে,
নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পাই।
আনমনে নিজেকে হারিয়ে ফেলি,
আফ্রিকার ঘন জঙ্গলের গভীরে,
কিংবা দার্জিলিংএর উঁচু পাহাড়ে,
অথবা কক্সবাজারের দীর্ঘ সৈকতে-
পৃথিবী নামের ছোট্ট গ্রহের,
এতটুকু দূরত্বে কোথায় তোমার বাস?
কোন শয্যায় ঘুমিয়ে আছো তুমি!
অন্ধকারে নাকি আলোর পৃথিবীতে?।