তোমাকে কতটা ভালোবাসি,
তুমি জানো না!
কিন্তু নির্ঘুম রাতের সহচারী হয়ে,
সাক্ষী আছে সহস্র নক্ষত্র পুঞ্জ!
গভীর নিশীথে রাতজাগা পাখিরা জানে,
তোমাকে কতটা ভালোবাসি!
শরতের ভরা জোছনায় নিরব নিঃস্তব্ধতায়,
যখন থেমে যায় পৃথিবীর সব কোলাহল!
তখন চাঁদের ওই স্বচ্ছ মৃদু আলোর মাঝে,
কেবল তোমাকেই খুঁজি!
উঠানে বেড়েওঠা সবুজ হাসনাহেনার সৌরভে,
মিশে আছে আমার অতৃপ্তির হাসিটুকু!
মিশে আছো তুমি এই মনের গভীরে,
দুচোখের পাতায়,খেয়ালে, মান অভিমানে!
ভালোবাসাহীন যুবকের অধর ললাটে,
জীবনের বিস্তীর্ণ সুবিশাল প্রান্তরে!
বৈশাখের ভয়াল রাতের সহচর হয়ে,
মিশে আছো এই তপ্ত মরুদ্বীপে!
তোমার প্রেমের জলচ্ছাস,
প্রতিমুহূর্তে আমার জীবনের তীরে,
আঘাতের পরে আঘাত করে!
একটু একটু করে বিলীন হয়ে গেলো,
জীবনের সুবিশাল খোলা মাঠ!
সব স্বপ্নের মাটি,!জীবিকার ফসল!
তোমার বুকে অকাতরে দান করে!
নিঃস্ব নগরের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ফিরি--
আজও এই মনে তোমার অদেখা মুখের গভীরে, খুঁজে পাই কক্সবাজারের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের ঢেউ!
ক্লান্ত চরণে হটাৎ একদিন,
বসে আছি হিমছড়ির স্নিগ্ধ বালুতে!
এমনই কত অজানা ভাবনায় কখন জানি,
নিঃশেষ হয়ে গেছে জীবনের বেলা!
এবার চলে যেতে হবে দুরে আরও দুরে বহুদূরে!