আজও এই বাঙালি নামের নদীর বুকে,
ঘোর বর্ষায় থৈ থৈ করে ঘোলাটে জল-
অথচ তোমার ভেঁজা শরীর আর দেখিনা!
উজানের ঢলে ঝাঁকে ঝাঁকে ভেসে আসে,
কবেকার বদ্ধ জলের অগণিত কচুরিপানা-
অথচ সাঁতার দেবার ছলে ভেসে যাওনা,
এঘাট থেকে ওঘাটে কিংবা নদীর ওই পারে।
আজও  আশ্বিন মাসের মধ্য নিশিতে,
হটাৎ দু'ই কান পাতলে শোনা যায় -
মাখন দাদুর বাঁশ ঝাঁড়ের গভীর থেকে,
ভেসে আসে অসংখ্য  শেয়ালের হাঁক!
আবছায়া অন্ধকার ভেদ করে উড়ে যায়,
দশ বারো জোড়া বাদুড়ের পাখার শব্দ!
অথচ তোমার সেই মায়াবী স্বর্গীয় সুধাময়ী কণ্ঠ,
আর ভেসে আসেনা আমার এই -
দক্ষিণের কাঁঠের জানালার পর্দার ফাঁকে।
আজও সপ্তাহের সোমবার বৃহস্পতিবারে,
যখন সূর্য মামা পশ্চিম আঙিনায় ঢলে পড়ে,
দূরদূরান্ত থেকে কত মানুষ পায়ে হেঁটে হেঁটে,
ছুটে আসে পেঁচিবাড়ীর হাটে-
অথচ কোন মানুষের পদচিহ্নের মাঝে,
তোমার পদচিহ্ন আর খুঁজে পাইনা!
আজও দীর্ঘ আঁধার পেরিয়ে
পূর্ব দিগন্তে সোনালী সূর্য উঠে,
অথচ তোমার রূপের মনোহর,
আর কোথাও খুঁজে পাইনা!
আজও টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার পথে,
দৈনিক কত শত যানবাহন চলাচল করে,
অথচ কোন অচেনা গাড়ি থেকে তোমার বেশে,
কেউ নামেনা কেউ বলেনা কেমন আছো?
কতদিন কতরাত কত বছর তোমাকে দেখিনা!