আমি  আগেও বহুবার মরেছি,
এখনো মরি সেই আশ্বাসে-
ঘুমন্ত পৃথিবীর কোল থেকে,
ছাড়পত্র নিয়ে ছুটে চলি-
উর্ধ্ব আকাশের নামহীন ঠিকানায়।
আবার তোমাকে স্বপ্ন দেখে,
জেগে উঠি মধ্য নিশিতে-
ঝিরি-ঝিরি শব্দ করে,
ফিরে আসি কল্প লোকে,
ভুলে যাই অতীতের ইতিহাস,
ভুলে যাই জীবনের ঋণ,
খেয়ালি বাঁশের বাঁশি হাতে,
সুর তুলি নব জন্মের!
কোথায় লগ্ন কোথায় মাতা?
ডুবে দেখো স্মৃতির পাতা!
কেমন করে ঘুরছি আমি-
জন্ম থেকে জীবনের দুয়ারে,
একটি মুখের প্রতিচ্ছবি'র সন্ধানে,
জন্মেছি আবার মানুষের বেশে!
তোমার বুকে মরবো বলে,
বার বার ফিরে আসি-
কখনো শরতের ফুল হয়ে,
কখনো আবার শালিকের মতো,
উড়েছি কত প্রেমের আকাশে!
কত জীবন ক্ষয়ে গেছে,
হারিয়ে গেছে অতীত অন্ধকারে।
মুঁছে গেছে সেদিনের আলো-
তবুও আমার হৃদয় মন্দিরে,
তোমাকেই যেন ফিরে পাই,
অদেখা সেই দেবীর ছায়া!
শত রূপে কত বার-
আমি সেই তোমাকে  দেখে,
জন্মাবো তোমার সন্তান হয়ে,
নয়তো হেমন্তের শিশির হয়ে,
ঝরে যাবো শিউলির পাতায়,
টগর শেফালী বেলী ফুলে!
তারপর ক্লান্ত দেহ নিয়ে,
চুয়ে পড়বো দুর্বা ঘাসে।
যখন  প্রখর সূর্য উঠে,
আলো দিয়ে তাপ দিয়ে,
বদলে দিবে হিম হাওয়া!
তখন অদৃশ্য হবো বাতাসে।