আলো আর অন্ধকারের পথ ধরে,
অবিরাম হেঁটে চলেছি -
এদেশ থেকে ওদেশের অচেনা মাটিতে,
কখন যেন আমি-
হেঁটে পার হয়েছি কাঁটাতারের সীমানা।
হেমন্তের কুয়াশা পেরিয়ে,
দূর কল্প জগতের রঙিন আকাশে -
হটাৎ থমকে দাঁড়াই!
চেয়ে দেখি ধূসর ছায়াপথের অন্ধকারে,
তুমি নামের নক্ষত্র!
শত-সহস্র কোটি বছর ধরে,
লুকিয়ে ছিলো অজ্ঞাতে।
হয়তো সৃষ্টির নিগূঢ় তত্ত্বের সন্ধানে,
একদিন উঠেছিলে জেগে!
সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশুর মতো।
দেখেছিলে সেদিন তুমি -
নগ্ন পৃথিবীর এক বিভৎস রুপ!
তারপর সহসা তুমি -
হারিয়ে গেলে স্তব্ধ বাতাসের বুকে,
মিশে গেলে একাকী।
আমিও সেই রাতের পর থেকে,
তোমাকেই ভেবে ভেবে,
চলেছি কল্প জগতের অদৃশ্য রথে।
ভেসে চলেছি বাতাসে!
আমার জীবন গেলো ভাবনার সাগরে,
শুধু স্বপ্ন দেখে -
তবুও কেন পাইনা হৃদয় নীড়ে!
তুমি কি কেবলই -
আমরা কল্পনার আকাশের চাঁদের মতো!