এ কোন কথা চিৎকার কোরে ওঠে বুকের ভেতরে,
চোখের ভেতরে খুলে দিয়ে চোখ অতন্দ্রা আসে!
এ কোন কথার আগুনে পুড়ে কেটে যায় বেলা!
রক্তে জলে ওঠে ধবল কনিকারাশি। কি কথা পোড়ায়


মেধা ও মাধবী আমি তাকে বলতে জানি না।


প্রিয় মুখ, প্রিয় চোখের চন্দ্রকলায় মেঘের কালিমা মেখে
প্রিয় পরিচিত পথ ভুলে নেমে যায় ভিন্ন ভূগোলে,
ঠোঁটের বন্ধনে ভুল ফসলের সঞ্চয় নিয়ে ফিরে যায় পাখি,
কি এক কথার কান্না তখন কেঁদে ওঠে বুকের বিজনে আমি তাকে বলতে বুঝি না।


যে-কথা চিৎকার করে, বুকের সভ্যতায় ভাঙে শিল্পের কারুকাজ,
আমি তাকে বলতে জানি না, বলতে বুঝি না—
শুধু চিতার তরঙ্গে জ্বলে যাই দ্বিধাহত মর্মমূল।


দ্বিমুখি সত্যের নিকটে খন্ডিত তরুন তাপস,
আর কতো মৃত্যু মথিত হবো, মর্মস্থলে পোড়াবো নিজেকে!
আপন কথার কাছে আপনার না-বোঝা গ্লানির ক্লান্তিতে
কতো আর নীরক্ত নিশ্বাস বুকের ভেতরে রেখে বাড়াবো দীর্ঘশ্বাস!
প্রিয়মুখ—প্রিয় পাখি—প্রিয় পাওয়া ফিরে যাবে ভেজাচোখ করুন কাতর!!


১৮.০৩.৭৬ মিঠেখালি মোংলা।


কাব্যগ্রন্থ : উপদ্রুত উপকূল (ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯)