শোনিতে বিক্ষোভ নিয়ে তোমার নিকটে যাই,
লালিত হত্যার হাত বুকের ভেতরে কাঁপে উষ্ণতায়।
যদি নতজানু হোই, যদি দ্বিধায় থমকে যেতে থাকি,
যদি ফুলের মমতা এসে মুগ্ধতা বাড়ায়—এই বুকে
করাঘাত কোরো, আমি ঠিকই ফিরে যাবো, ঠিকই চিনে নেবো পথ।


শংখ শরীরের সুখে একদিন কিছু ভুল ভালোবেসে,
রুগ্ন তরুদের মতো আমিও স্খলন হয়ে
পচা আঙুরের নীল অন্ধকারে সারারাত,
আমিও সারারাত মৃত মানুষের শীতে
শীতার্দ্র হয়েছিলাম—


বহুদূরে—একখানা হাত,
একখানা আঙুলের হাত প্রত্যাশার মতো
জেগে থেকে একা শুধু শুনিয়েছে গাঢ় স্বরেঃ
এই মাঠে, এই বুকে ফসল ফলাবে দেখো নোতুন কিষান,
তাদের আশ্বাস পেয়ে অবশেষে কেটে যাবে কুয়াশার দিন।


মাটি জানে, বৃক্ষ জানে, আমি ভুল ভালোবেসে
অন্ধকারে নষ্ট ফলের মতো ঘুনপোকা পুষেছি বুকের ভেতর।
শোনিত বিক্ষোভ ছিলো, প্রতিজ্ঞায় গাঢ় ছিলো হৃদপিণ্ডের সাহস,
শুধু কিছুদিন এক মাংশে মোহে আবরিত ছিলাম কলুষ পাখি।
এইবার ফিরে যাবো—যদি নতজানু হোই, যদি দ্বিধায় থমকে থাকি,
ঘৃনা কোরো, গ্লানি ছুঁড়ে দিও কঠিন আঘাত জন্মে জীবনে বোধে—
ললাটের মাঝখানে লিখে দিও—পরাজয়, দূষিত মৃত্যু।


০৬.০৭.৭৬ মিঠেখালি, মোংলা।
কাব্যগ্রন্থ : উপদ্রুত উপকূল (ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯)