দূর দূর চিরকাল ওই অন্তহীন নিঃসঙ্গ পথে তুমি কে?
ভেতরে একটি ব্যাঙ লাফাতে লাফাতে চলে সমুদ্রে—
মুক্তি কোথাও নেই—গোধূলি নামার আগেই দেখো
কারা যেনো মানুষের কাঠামো ভুলে পাখি হতে চায়।


চিরদিন বুকে ঢেউ নিয়ে নৈঃসঙ্গ্য নিয়ে সমুদ্র বয়ে চলে
চিরকাল জলের স্পর্শেও তৃষ্ণা মেটে না কেনো আমার?
আকাশের বিবিধ রঙের ভেতরে বিড়ালের ইঁদুর শিকার
শেষ হতে না হতেই কোন বিরহে কামরাঙারা খসে পড়ে?


পৌরাণিক দেয়ালের ওপাশে কিছু ঘোড়া ঘাস খাচ্ছে
হে অচল হে ধাবমান অসীম তন্তুর বুক থেকে সসীম
রহস্যের জটিল খুলতে খুলতে দেয়ালের বুক ধসে যায়—
এপাশে অন্ধের শহরে রোজ আলো বিক্রি করে যাই।


যে জলের বুক যত গভীর তারে তুমি পাও তোমার স্বপ্নে
আমিও পাই রক্তের শহর থেকে পলাতক কিছু মৌমাছি,
যে রঙ যত বেশি খেলা করে তারে তুমি চাও অনুকূলে
কবিতার ভেতরে কেনো চিরকাল শব্দেরা আশ্রয় খোঁজে?