গাঢ় গাঢ় অন্ধকার নিয়ে
প্রগাঢ় পাথর
তৃষ্ণায় ছুটে যায় প্রকীর্ণ জলে।
জলও ছল জানে যেনো
কিছু বাদামের খোসা পাখির আকৃতিতে
ফিরে আসে জীবাশ্ম জীবনের মননে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ছুঁয়ে ফেলে সূর্যকে
এবং মৃত একজোড়া চোখকে।


মোহের চূড়ান্ত মূলে করেছি আঘাত
হলুদ বল্লমে নেমেছে সুনীলকান্তি ছায়া;
চিরদিন কোথাও না যেতে যেতে
সুরধুনী বয়ে চলে দ্বিবিধ সত্তার ঊর্ধ্বে।
অবশেষে পাখিরাও শিখেছে বর্ণমালা আমার:
পরিত্যক্ত পলিথিনের সাথে গোপন প্রণয়
ফুলের সাথে সহজ জীবন
কুকুরের স্নায়ুর সাথে আমার স্নায়ুর যৌথযৌনতা।


সমুদ্রের লোনা দুঃস্বপ্ন নিয়ে এঁকে চলি বিভ্রান্তি
হাঁড়ের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে আশ্চর্য রোদ্দুর,
বাদামী জগতের ইতিহাস পালকের মতো ঝরে পড়ে
ভেতরের জনপদ শূন্য থেকে যায়।
মানুষের হৃদয় প্রেম ভুলে ক্রমাগত ঢুকে যাচ্ছে
মধ্যদুপুরের হাইওয়েতে
এবং ঘোড়ারা হারিয়ে ফেলছে তাদের দৌড়প্রতিভা।


দেয়ালের কণ্ঠধ্বনি থেকে ভেসে আসে ধ্বস্ত নগরের রোদন
নৈঃশব্দ্য থেকে বিবর্ণ রঙের বাঘেরা
দখল করে নিয়ে যাচ্ছে শ্যামল তৃণভূমি।
ঘড়ির কাঁটার সাথে বাজতে বাজতে
যারা চলে যায় নক্ষত্রের সবুজ সকালে
মৃত্তিকার ঋণ শোধ করে তারা অপরিচিত মৃত্যুতে।


যে যার মতো দেখে যায় মিউজিয়াম
ইতিহাসের সুদীর্ঘ শীতের নিচে মৃত সব প্রত্নের বুকে
ভর করে দাঁড়িয়ে আছে ভবিষ্যৎ।
পৃথিবীর কোন এক শহরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে আসতে
সংশয় ভর করে কেঁপে ওঠে হৃদয়—
ভাব-কদম্ব প্রকটিত হওয়ার আগেই
হলুদ কচ্ছপেরা ছেড়ে যায় এইসব প্যানোপটিকন।