চন্দ্রকর ঘুরে বেড়ায় প্রপাতের ছলে ছলে—
বেদনার সমান্তরালে তুমিও ঘুরছো
আর তৈরি করছো প্রতিদিন  
নিজেরই পাঁজরে তীব্র বিষঢল।


প্রশ্নবোধক চিহ্ন-সন্ধ্যায়
যেভাবে ছুড়ে দাও তোমার চাহনি
অপরাধ না করেও মনে হয় আমিই অপরাধী
আর পৃথিবীর গোলাপের সৌন্দর্যে মুগ্ধ দু'চোখ
জেগে জেগে হয়েছে আজ রাতের সখা।


দীর্ঘতম বিরহখণ্ড নিয়ে হেঁটে চলি—
অবহেলা পেতে পেতে
নিজেকে ভাঙতে ভাঙতে
মৌলিক স্বরধ্বনিগুলো আর ভাঙতে জানে না
বৃক্ষের নিচে তাই রোজ করি লুপ্তির সঙ্গম।


অবহেলা দাও আমাকে
আপাদমস্তক অবহেলা দাও তুমি
সহনের অধিক দহন দাও
দাও তুমি একান্ত দাউদাউ
জ্বলে জ্বলে জলের সাথে মিশে যাই শূন্যতায়।