নিজের লাশের গন্ধ পাই হৃদয়ের গভীরে!
মনে নেই
শেষ কবে ছুঁয়েছিলাম নারীর শরীর
দুঃখগুলো প্রজাপতি হয়ে ওড়ে শীতের দুপুরে।
যতবার সত্তার মূলে চেয়েছি ফিরে যেতে
ব্যর্থ হয়ে পিষ্ট হয়েছি হলুদ অন্ধকারে,
দূরতম ওয়াচ-টাওয়ার থেকে দেখেছি
আমার স্বপ্নগুলো হরিণের মতো থাকে আতঙ্কে।
পৃথিবীর ভাষা আজও বুঝতে পারিনি আমরা
নিজের ভেতরে রক্তের সব গলিতে হয়নি হাঁটা
একসাথে, তোমার সাথে।
নিজের ভেতরে শুনি প্রতিধ্বনি
রাতের ওষ্ঠ জুড়ে থাকে প্রতীক্ষার ট্রেন
আসবে না জেনেও সাজাই বেদনার বেডরুম।
অসুখী দেয়াল জুড়ে
লিখেছি সুখের স্লোগান
অথচ তুমি মুছে যাও দূরে চলে যাও ভুলে যাও
ব্যক্তিগত শহরে মূক হয়ে বসে থাকি-
নক্ষত্রেরা তখনও সুগভীর নিদ্রায়।