জুতো ছিঁড়ে গেলো, হাঁটতে হবে জানি তপ্ত মাটির পথ-
মুচকি হেসে চলে যায় দুপুরের সূর্য, জেনে গেছে সবাই-
পাখি তার নরম শরীরে নিয়ে যায় জীবনের অন্ধকার
আঙুলে বরফ রেখে শহরে হাঁটি আর তামাশা দেখাই।
ছিনতাই হয়ে গেলো অনেক সাধের শ্রম, কে যেন
প্রতিদিন নদী থেকে তুলে আনে কিছু নির্মল জল-
টুনটুনি পাখি খুঁজে বেড়ায় আশ্রয়, বোতলের জলে
চোখের তলে বয়ে চলে এক নীরব করুণ নিম্নচাপ।
প্লাবিত হয়ে ভেঙেছে স্বপ্নের জনপদ, অসহায় জেলের
চোখের মতো আমিও ফেলি জল গভীর অতল।
ওড়ে যাওয়া কাগজে চলে যায় সব না-বলা কথা
শিমুলের তুলোর মতোন,-তারপরও বসে থাকি-
তবুও বসে থাকি অন্যরকম ভোরের প্রত্যাশায়।