পাললিক স্তব্ধতা ভেঙে পান করেছি ক্লান্তির ঘ্রাণ-
আমাকে ফেরালে পুড়ে যাবে সুখের সমস্ত চুল।
কতদিন নক্ষত্রের হাড় শুষে করেছি বুনো উৎসব
কৃষ্ণগহ্বরের রক্ত পান করে শিখেছি বাঁচার মন্ত্র
একান্ত-নীল ভেঙে নিজেকে চিনেছি করেছি আবিষ্কার।
আমার চিবুকের নিচে ছিলো স্পর্শের লাল রাজধানী
বিছিন্ন বাগানে মোহন হাতে বুনেছি জোনাকের আলো,
বুকের ভেতর ছিলো অভিশপ্ত মানুষের নিরত ক্রন্দন।
এক হাজার কোটি নিষ্পলক চোখে দেখেছি জীবন-
আমি থাকলে ফুটবে না এ শহরের কোনো গোলাপ
প্রেমিকার রক্তের ভেতর থাকবে না কোনো অবসাদ।
সুতো-কাটা ঘুড়ির মতো ঘুরে ঘুরে এইসব জীবন
কেন্দ্রহীন কোনো বৃত্তের ভেতরে শুয়ে থাকে অষ্টপ্রহর।