সেইসব ভীড়ের মাঝে
আমার দু'চোখ শুধু তোমাকেই খুঁজেছিলো...
জানি সেখানে ছিলো না তোমার ব্যস্ত কঙ্কাল
তবুও আমার হৃদয় এক চঞ্চল বাছুর
শত সহস্র মুখের নগরে
সিসিটিভি ক্যামেরার মতো সদাসক্রিয় দু'চোখে
তোমাকেই যেনো দেখেছি জনসমুদ্রের দেয়ালে।
টার্মাক পেরিয়ে তুমি উড়ে যাও ধীরে ধীরে
কোন এক শহরের আমৃত্যু সবুজ অন্ধকারে—
পায়ে পায়ে হেঁটে হেঁটে ছাড়িয়ে যাচ্ছি রোজ, তবুও
তুমি ছিলে হৃদয়ের, স্নায়ুর, দু'চোখের প্রশান্তি।
হলুদ জলের গভীরে যেতে যেতে
তুমিও জেনে গেলে মাছের জীবনচক্র—
সুঘ্রাণ ফুরিয়ে গেলে শস্যের শরীরেও নামে পরাজয়।
সেখানে তুমি কোথায় ছিলে?
লাল ইটের কোন দেয়ালে রেখেছিলে সুতনুর চিহ্ন?
উদগ্র বঁড়শি আঙুলে নিয়ে ছুটেছিলাম আলোয়
জালের পরিধি পেরিয়ে সেইসব পদচিহ্নে
ছিলো সকরুণ আর্তি।
কোথায় গেলো প্রাণের স্পন্দন?
না থেকেও ছিলে না-থাকার অধিক
সার্ধ আলোর ভেতরে প্রবহমান রঙের রহস্য ভেদ করে
তোমার হাসির ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে...
বহুদূরে বহুদিন ধরে যাইনি বলে ভেবো না
ক্লান্তির চিতা নিয়ে গিয়েছে জীবনের সব শিকার!
যারা খুঁজেছিলো তারা কি খুঁজেছিলো
যখন আনন্দের স্বর্ণশিখরে আমি তোমাকেই চেয়েছি?
স্বপ্ন ও বাস্তবতার মাঝে দাঁড়িয়ে জেনেছি
যে সফল সে তোমাকে পেয়ে যাবে জলের মতো সহজে
তোমাকে ধ্যান করে যে বিফল সেও হারাবে খুব সহজে।