তোমাকে যে পেয়ে যাবে সে পেয়ে যাবে
আলোর মতো সহজে;
অনেক আরাধনা শেষে তোমাকে পাবো না জেনেও
চাঁদের আলোয় জ্বলজ্বল করা বাঘের শরীরে
এঁকে দিই তোমার নাম।


পাওয়া না-পাওয়ার এই দ্বন্দ্বে
কত আপেল ঝরে পড়ে হলুদ নদীর জলে
কত ফুল রাতের অন্ধকারে শোক করে জোনাকির সাথে,
নক্ষত্রের মাঠে যেসব ঘোড়া ঘুমিয়ে থাকে
তাদের স্বপ্নের স্বাদ ফুরিয়ে আসে শিকারীর বল্লমে।


কল্পতরুর কাছে শুধু তোমাকেই চেয়েছি
নীরদ নয়নে প্রতীক্ষায় থাকি সুরধুনী-তীরে।
ওগো স্নিগ্ধসন্ত একবার হাত বাড়ালে
আমার নৈঃসঙ্গ্যের বাগানে ফুটবে অমর পারিজাত
দুচোখ পেয়ে যাবে তাদের ঈপ্সিত ঘুম।


শূন্যতার চারপাশে হেঁটে হেঁটে
ফের ফিরে আসি বৃত্তাকার বেদনায়।
কে হায় এমন করে রোজ আমাকে পুড়াতে পারে
নিটোল নিরেট দুঃখ দিতে পারে
কে পারে তোমার মতো চৈতন্যের কাঠঠোকরা হতে?


অনেক বাক্যের ক্লান্তির শেষে
যদি পেয়ে যাই এমন কিছু বাক্য
এমন কিছু সুখ পৃথিবীর রঙিন অবারিত দিগন্ত
তোমার চুলের ঘ্রাণের অনির্বচনীয় আস্বাদ—
গ্লাস ভেঙে গেলে কেনো ফিরে আসতে হয় বাস্তবে?