হে সুদূরমগ্নতা
ভেতরে রঙিন পতন নিয়ে
গাঢ় হতে হতে কোথায় চলে যাও?
শূন্যতার মাঝে
আরও শূন্যতা সৃজন করে
বেদনার পুষ্ট ওষ্ঠ হতে কেমন করে ঝরাও তুমি
অলৌকিক পারিজাত?
সময়কে বাঁকিয়ে পরিণত করেছি
বিবিধ সৌরভে
দৃশ্যের ভিড়ে জনতার সত্যের মতো
বিভ্রান্তি নিয়ে
হে আমার আজন্ম পাপ
কেনো দাও তৃষ্ণার সবুজাভ অভিশাপ?
নিয়ত এই চক্রে
শূন্যতায় শূন্যতা সৃষ্টি হতে হতে
তোমার ভেতরে কারা জেগে জেগে
তোমাকেই পান করে হয়ে উঠে দানবিক?
সংশয়ের পেন্ডুলাম দুলতে দুলতে
চলে যায় নিশ্চিতির সন্ধানে—
নদীরা ফের ফিরে পেলে যৌবন
ছুটে আসবে বেদনার অনুপাতে
এইসব ক্লেদজ বাস্তবতায়।
স্থির থেকে যাওয়ার বাসনায়
চারিদিকে ঝকঝকে অস্থিরতার মাঝে
বরফ গলে যেতে যেতে
বদলে যায় আপেলের রং।
প্রশ্ন করার সময় এখন নয়
কিন্তু প্রশ্ন করার অবিরাম বাসনায়
শ্বাসকষ্ট বাড়তে বাড়তে
খসে পড়ছে অদৃশ্য কাঠামো।
বেডরুমের শিল্পকলা ভুলে
চির চঞ্চল এক মূর্তি
সশব্দে ভেঙে পড়লে
মানুষ কেনো চিরকাল দানব হতে চায়?