যে ফুলটি ফোটে ফোটে করেও না ফোটার আগেই
বোমার ছদ্মবেশে ফোটে যায়
কোনো এক জনাকীর্ণ শহরে
মৃতদের রসে পুষ্ট শরীরে ফের ফিরে আসতে আসতে
বসন্তের পাখিরা উড়ে যায় বিপর্যস্ত নির্মলতায়।


দাঁত ব্রাশ করতে করতে একটি অজগর আমাকে
খেয়ে ফেলার সংকল্পে অপক্ব থেকে যায় কিছু ফল;
রাস্তার শরীর থেকে ভেসে আসা সেলুলয়েড ঘ্রাণে
কেনো ছুটে আসো মধুহীন এই সুকঠিন তীর্থে?
প্যানোপটিকনের ধূসর দুটি চোখ ফাঁকি দিয়ে
চলে এসো আফ্রোদিতি বিপন্ন বিপুল অস্থিরতায়।


সুখে থাকার কথা ছিলো কিন্তু কেউ সুখী হলো না
কেউ সুখ পেলো না ঝরঝরে বেডরুমে,
সকাল আর সন্ধ্যার ফুল এক নয় এ সত্য জেনেও
যেসব যুবকেরা হৃদয় জমা রেখে নিয়েছিলো মারণাস্ত্র
তাদের কঙ্কাল থেকে বৈকালিক বিষণ্নতায়
ভরে যায় চারিদিকের মহাপরাক্রমশালী শূন্যতা।


শরীরে অনেক জ্বর পৃথিবীর জরায়ুতে সমূহ পতন—
পৌরাণিক ছাতার নিচে আশ্রয়ের লোভে
যারা বিসর্জন দেয় বর্ষার মেদুর জল
চাকার নিচে পৃষ্ট রোদের ব্যথা খুঁজতে গিয়ে
পতঙ্গের মতো আমরা ছুটে চলি পৃথিবীর কেন্দ্রে!


প্রতিফলন হতে গিয়ে প্রতিসরণের লোভে
তোমার সহজ হৃদয় কোথায় চলে যায়?
গল্পকার ছাড়াই আমাদের ব্রেকফাস্টে গল্পের ছড়াছড়ি
রসুনকে নগ্ন করতে করতে
শত শত জনপদ ডুবে যাওয়ার এই করুণ মুহূর্তে
চলে এসো আফ্রোদিতি আমাদের প্রতিটি শোকে।