যে যার পরিধি পেরিয়ে চলে যাচ্ছে—
তুলতুলে গোধূলি নরম দুপুর দীর্ঘতম ছায়া ফুল ফল
রেখে যাচ্ছে নিজস্ব চিহ্ন পৃথিবীর ইন্দ্রিয়তে
যেন প্রাচীন কোন এক যুদ্ধক্ষেত্রে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে
ছুটে যাচ্ছে সংখ্যাহীন শাদা ঘোড়া।


কোথাও বুকের ব্যবধানে বেড়েই চলছে বর্বরতা—
কোথায় যায় যদি নিভে যায় জোনাকির আলো
অনির্বচনীয় সময়ের অতীতে যারা যেতে চেয়েছে
তারা কেউ পায়নি হৃদয়ের ঋতু।
জলে জলে বেড়ে উঠা পদ্মফুলের সঞ্চয় শেষে
এখানে অগ্নি জমে বরফ গলে তুমি জ্বলো শাশ্বত।


ছেটে ফেলার পর যেসব চুলেরা ওড়ে যায় দূরে
যারা স্মৃতিরসে পুষ্ট হতে চায় পতনের তালে তালে
যারা লিখেছে অর্থহীন শস্যের কথা
যাকে তুমি সত্যবাদী বলে মানো পৃথিবীর ইতিহাসে
তাদের চেয়ে বড় হন্তারক আর নেই;
আমাদের দাঁতের প্রতিভা ফুরাতে ফুরাতে বিনষ্ট হচ্ছে
শহরের শেষ বইয়ের বিতান হোটেল বাসের যৌবন।


অগভীর নদী গভীরতার ভান করে আমাদের মহৎ
দৃষ্টিকে চাকুর নিচে প্রবাহিত করতে করতে
ফুলের বাগান তছনছ হয়ে যাচ্ছে যৌথ অহংয়ে।
তবুও যারা জেগে থাকে মেধায় ও সৌন্দর্যে
ধ্বংসের দহনলীলা মুখে নিয়ে যে উচ্চারণ করে শ্লোক
তাদের যুথচেতনার গভীর থেকে বোধের পাখিরা
উড়তে উড়তে চলে যায় যৌগিক জলাশয়ের দিকে।