...নির্বাসিত ছিলাম শরীর হতে। আমার পতিত আত্মা চেয়েছিলো অধঃপতনের শীর্ষ বিন্দু হতে লাফ দিয়ে চলে যেতে দূরে। দূরে যেখানে কোনো ভাষা নেই। দূরে যেখানে কোনো চাওয়া নেই। চেতনে কোনো দূষণ নেই। অবচেতনে কোনো কাম নেই। দূরে যেখানে বাঘ ও হরিণ সারারাত গল্প করে নক্ষত্রের নিচে। দূরে যেখানে জাল ও মাছ চুমো খায় প্রকাশ্য মধ্যদুপুরে। হঠাৎ আমার শরীর উড়তে উড়তে চলে আসে। শরীর ও আত্মার মিলন দেখে আমি কাঁদতে থাকি। কাঁদতে কাঁদতে আমার চোখ থেকে বেরিয়ে আসে নীল জল। জল থেকে জন্ম নেয় নদী, নদী থেকে সমুদ্র। জলের এই বিবর্তন শেষে কষ্ট আর বেদনা আমাকে ভেদ করে ছড়িয়ে পড়ে বিবিধ ভূমিতে। নিজেকে তখন মনে হয় পৃথিবীর ধুলোচক্রে নিয়ত এক পরিত্যক্ত পরিব্রাজক। ওদিকে স্বপ্ন ও বাস্তবতার মাঝে বসে কেউ একজন নামতা পড়ছে—জীবন একে জীবন, জীবন দ্বিগুণে আশা, আশা দ্বিগুণে হতাশা...