কোথাও বসে আছি বলে ভ্রম হচ্ছে—
বসে আছি না কি না
এই দ্বন্দ্বে আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে
সবুর্ণ মাছেদের আয়ু বৃদ্ধি পায়।
দাঁড়িয়ে আছি কি না তা-ও জানি না—
নিজেকে মনে হয় দূরের দিগন্ত
কাছে গেলে আরও দূরে সরে যায়
ভেতরে এত কথা বলো কেনো?
গতিময় এ বিশ্বে কয়েকটি প্রজাপতি
থেমে থাকে আমার চুলের সৌরভে;
শাদা ভাতের পাশে বিষণ্ণ সন্ধ্যা
শারীরিক অক্ষমতায় রূপান্তরিত হয় কান্নায়।
প্রদীপের শিখা দেখায় বিচিত্র নৃত্য
নদীর অন্তহীন জন্ম-মৃত্যুর চক্রে
ফুলেরা করে যায় নিয়ত উল্লাস।
বিকালের এই কফিশপে তুমি আসবে না বলে
ঝরে যাচ্ছে স্বপ্নের নক্ষত্ররা
লোহার শরীরে আগুনের চুম্বন শেষে
যখন ধীরে ধীরে শান্ত হতে থাকে এই শহর
এই করোটি
যা ভাবছি তাই ভাবছি যা ভাবছি না।
এই রেস্টুরেন্টে তোমার শরীরের স্নিগ্ধ ঘ্রাণ
সময়কে বিপথগামী করে দিলে
যেন আমি লাইনচুত্য এক হলুদ ট্রেন
যে কোনো জীবনে হঠাৎ ঢুকে পড়ি।