এসব ভীড় যাদের জন্য তাদের প্রতি নেই কোনো হিংসা
এসব সুখের প্রতি নেই কোনো লোভ
কিছু কিছু জীবন পেয়ে যায় সুখের স্নিগ্ধ দিগন্ত
আর কিছু কিছু জীবনকে কাটাতে হয় দুঃখের সৈকতে।


কী তুমি ভাবছো আজকাল, হে মৌনী?
আকাশ ভেদ করে চলে আসে যেসব বৃষ্টির ফোঁটা
তারাও মরে যায় পৃথিবীর স্বাদ শরীরে মেখে।
ঘরের মৌলিক জ্যামিতির বর্ণ মুছে যেতে যেতে
তৃষ্ণার পরিধিতে চলে আসে জলের প্রসারণ।


এত শ্রম আর ঘাম
এত স্বপ্ন ও সভ্যতা
বাঘের কাছে তুমি আহার ছাড়া কিছুই নও!
বেদনার কপোত উড়িয়েছি আমি হলুদ বনভূমিতে
হাতের মুঠোয় সুঘ্রাণ রেখে ঘুরেছি বিচিত্র রাত
জীর্ণ জীবন হতে যারা ছেয়েছিলো বহুদূর
কেউ কেউ নির্বাসন মেনে নিয়ে কাটাচ্ছে যৌবন।


সময় ফিরে পাওয়া গেলে ফিরে পাওয়া যেতো স্বপ্ন
ফিরে পাওয়া যেতো একান্ত প্রত্ন,
যারা পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে রেখেছিলো শান্তি
বিমূর্ত লেবুর শরীর জুড়ে লেলিহান দাবালন শেষে
কেউ কেউ হারিয়ে যায় বেসুরো দুপুরে।


কে কাকে পুড়াচ্ছে এ মধ্যরাতে?
স্পর্শের শ্বেত কণিকার ভেতরে লুকিয়ে আছে যারা
তাদের বুকের উপত্যকা হতে বেরিয়ে আসে সরীসৃপ;
পাখি হয়ে আকাশে আকাশে উড়ার নেই সাধ আর
পলাতক ঢেউ শরীরে মেখে নিয়ে যায় অনেক রোদ্দুর,
যারা লুকিয়ে থাকে চামড়ার আশীর্বাদ নিয়ে গভীরে
ফুলের পাশে হরিণের দৃশ্য এখনও আন্দোলিত করে।