আমি ছাড়া আমার কেইবা আছে এ শহরে!
সারাদিন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ঘুরে ঘুরে
পথহীন পথে হেঁটে হেঁটে হেঁটে হেঁটে
যখন ফিরে আসি বিছানার বুকে
আর্তিগুলো কেনো জাগে দুঃখে?
ঘরে কেউ নেই আমার কেউ নেই
কোথাও কেউ নেই কেউ নেই
কেউ দরজায় নক দেবে এই ভেবে ছুটে যাই দরজায়
কেউ ফোন করবে এই ভেবে তাকিয়ে থাকি ফোনে।
কারো প্রিয় হতে না পারার ক্ষমাহীন অক্ষমতায়
নিঃসঙ্গ সড়কবাতির মতো জ্বলি সারারাত।


পরিত্যক্ত গাড়ির খোঁজেও চলে আসে কেউ কেউ
বেনামি সম্পত্তিও নামি হয়ে যায়,
কেউ কেউ পেয়ে যায় প্রবল অসম্ভবনা, রূপোলি মেঘ
হঠাৎ মধ্যদুপুরে বিস্মৃত রুমালের ঘ্রাণ।
হৃদয় জয় করার মতো কোনো সাফল্য না থাকায়
চিপসের প্যাকেটের মতো সবাই ছুড়ে ফেলে দেয়।
কথা শোনানোর তীব্র নেশা বুকে নিয়ে
কথা না-শোনানোর মতো কেউ না থাকার বেদনায়
মনে হয় পাখি হয়ে উড়ে যায় নিঃসীম দূরত্বে।


কারও প্রিয় হওয়ার মতো
ওষ্ঠের আস্বাদ পাওয়ার মতো
কোনো সাফল্য আমার নেই।
ব্যাধিতে কারও শুশ্রূষা পাওয়ার মতো সমৃদ্ধি নেই
বন্ধুদের গল্পে স্থান পাবার মতো কোনো পরিচয় নেই
আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার মতো হৃষ্টপুষ্ট ওয়ালেট নেই
কিছুই নেই কিছুই নেই আমার কিছুই নেই।


আমি এক আজন্ম ছিন্নমূল—
রাস্তার সাথে কথা বলে বলে
কুকুরের দিকে চেয়ে চেয়ে
নদীর তীরে হাঁটতে হাঁটতে
ঘনিয়ে আসে অন্ধকার।
রাত্রি হলে গাঢ় কষ্টেরা বেড়াতে আসে
বুকের ভেতরে নৈঃসঙ্গ্যরা করে বিদ্রুপ—
সবারই গন্তব্য আছে
এমনকি রাস্তার কুকুরেরও
আমার কি কোনো গন্তব্য আছে
ব্যর্থ পুরুষের কি কোনো গন্তব্য থাকে?