অলৌকিক সিঁড়িতে
পা রাখতেই
কয়েকটি নীল পাতা
ভেদ করে আলো পড়লো বুকে
এবং একটি মশা গান গাইতে গাইতে
চলে গেলো বিভিন্ন পথে।
কবিতা লিখতে গিয়ে
বেদনার অভিধান খুঁজেও
যখন ফিরে আসতে হয় শূন্য হাতে
তখন তোমার শরীর থেকে
হে অধরা, বারুদের ঘ্রাণে
লিখে ফেলি কয়েকটি প্রজাপতি।
কয়েলের ধোঁয়া সোজা হয়ে
ঠিক যখন বেঁকে যায়
ঠিক যখন বেতস গাছের মতো
সুখের অন্তহীন হতাশায়
দৌড়াতে দৌড়াতে সংখ্যাহীন
এলোমেলো ভাবনা যখন হাঁটে নিউরনে
এক ঝাঁক পাখির ভেতর
এই পাখি, এই রাত
পৃথিবীর বিভিন্ন দৃশ্যে
পরাজিত হতে হতে
শুয়ে থাকে সৌন্দর্যের ওষ্ঠে।
প্রাচীন কলসের বুক হতে
তৃষ্ণা মেটাতে গিয়ে
ফিরে আসি অধরা দুপুরের কাছে
এবং বিভিন্ন গাণিতিক সুরের আড়ালে
যখন বেজে ওঠে বিষাদের ঘণ্টা
অনেকগুলো সমস্বরের ভেতরে
নিজেকে চিনতে গিয়ে
হে কবি, হে সময়
চলে যাই করুণ উপত্যকায়।