যেসব শব্দ কিংবা বাক্যের ভেতরে তুমি ছিলে
ধীরে ধীরে জলের চিহ্ন মুছে গেলে
তুমিও হারিয়ে যাও হলুদ-আক্রান্ত সন্ধ্যায়—
পৃথিবীর তলপেট ভরে যায় মৌমাছিদের নির্বেদে।


নির্বস্তুক সময়ের মাঝে হেঁটেছি কত আমি
সমুদ্রহীন প্রেম নিয়ে তবুও জেগেছিলো আমার দুচোখ;
আদিম সরীসৃপের খোলস পাল্টে
যে তুমি শিখেছিলে নৃত্যের অধিক—
মত্ত মাধুরী ডাকে আজ জীবনের তুমুল তুমুলে।


অধ্যারোপ করেছি তোমায় ফুলে-বৃষ্টিতে-কাগজে
পরিত্যক্ত পলিথিনে বৃক্ষের পাতায় পাতায়,
সময়ের সমারোহণ শেষে যখন জেনেছি পরাজয়ই সত্য
নতজানু হয়ে গেয়েছি নিজেরই স্নিগ্ধ পতন।


বিহীনতার গভীরে করেছি কেবলি এইসব চাষাবাদ
সুকৌশল ভুলে গেলে তুমিও পরীক্ষা করতে পারো
যে ধনুক কষ্টে কষ্টে হয়েছে অব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র...
আমার হৃদয় পৃথিবীর বৃহত্তম বিরহভূমি
যেখানে নৈরাত্ম্য শরীর জেগে থাকে স্পর্শের প্রত্যাশায়।